হত্যার ১০ বছর পর তিনজনের ফাঁসি
Published : Tuesday, 9 February, 2021 at 12:00 AM
ফেনীর ফুলগাজীতে সিএনজি অটোরিকশাচালক মুলকত আহম্মদ কালা মিয়া হত্যা মামলায় তিন আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অপর এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ ফেব্রিয়ারি) জেলা ও দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছা এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ১৬ আসামিকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহম্মদ জানান, মুলকত আহম্মদ কালা মিয়া হত্যা মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত তিন আসামি হুমায়ুন হাছান রাকীব, আবদুর রহমান মানিক ও আবু তৈয়ব বাবলু। একই সঙ্গে তাদের ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেয়া হয়। যাবজ্জীবন দ-প্রাপ্ত আসামি হলো সুমন চন্দ্র রায়। তাকেও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
খালাসপ্রাপ্ত অপর ১৬ জন হলেন- মো. রাসেল, সোহাগ, মোশারফ হোসেন, রুবেল মিয়া, দিদার হোসেন রিপন, আলমগীর হোসেন বাবু, মাঈন উদ্দিন ঝিনুক, মো. জহির, নুর মোহাম্মদ জুয়েল জনি, সাফায়াত আহম্মদ পাটোয়ারী রাকিব, হাছান ইমাম, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. লোকমান হোসেন, শরীফ প্রকাশ টিপু, তৌহিদ উল্যাহ, এনায়েত হোসেন রাজু।
এর আগে ২ ফেব্রুয়ারি একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়।
মামলার নথিপত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে পরশুরাম থেকে সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে মুন্সিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন মুলকত আহাম্মদ কালা মিয়া। রাতে বাড়ি না ফেরায় তাকে খোঁজাখুজি শুরু হয়। একপর্যায়ে রাত ৩টার দিকে জগতপুর রোডের টুক্কু মিয়ার পুলের পশ্চিম পাশে পানি থেকে মুলকতের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই ফখরুল আহাম্মদ মজুমদার বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন ওসি সৈয়দুল মোস্তফা ২০১১ সালের ২৮ মে আদালতে ২০ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার কাজ শুরু করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১৫ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।
চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার ৬ পুলিশ সদস্য কারাগারে
আনোয়ারা উপজেলায় এক ব্যক্তির কাছে গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য পরিচয়ে একজনকে তুলে নিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগে ছয় পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজিরের পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
কারাগারে পাঠানোর আদেশপ্রাপ্ত ছয় পুলিশ সদস্য হলেন- কনস্টেবল আব্দুল নবী, এসকান্দর হোসেন, মনিরুল ইসলাম, শাকিল খান, মো. মাসুদ এবং মোর্শেদ বিল্লাহ। তারা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জী বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সুব্রত ব্যানার্জী বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় ছয়জনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে হাজির করা আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।