শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহামারীর কারণে চলমান ছুটি আর না বাড়িয়ে ছাত্রাবাস খুলে দেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে 'সাধারণ শিক্ষার্থী ব্যানারে' তারা এ মানববন্ধন করে। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে স্মারকলিপিও দেয়।
তাদের দাবিগুলো হল- অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলসমূহ খুলে দেওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের স্ব-শরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান, দ্রুত সময়ের মধ্যে ক্লাসগুলো শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টসমূকে অবহিত করে পর্যায়ক্রমে সকল বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ বিবেচনায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে স্ব-শরীরে ক্লাস করার অনুমতি প্রদান, সেশন জট নিরসনের জন্য সর্বোপরী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে 'ফ্রি বাস সার্ভিস' চালু।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে অন্য সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবন্ধী ছাত্র সমাজ'য়ের (ডিসকু) সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সবকিছু সচল আছে, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর কতদিন বন্ধ থাকবে? এভাবে বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থী সেশনজটে পড়ে যাচ্ছে।
“এখন বাংলাদেশ ভ্যাকসিন চলে আসছে, করোনাও কমে আসছে। তাই আমরা সরকারের কাছে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছি।”
সমাজতত্ত্ব বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারহা নাজনিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রমে অনেকটাই পিছিয়ে গেছে। নেটওয়ার্কজনিত সমস্যার কারণে অনেকের অনলাইন ক্লাস করাও সম্ভব হচ্ছে না।
ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. আরজু আহমেদের সঞ্চলনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি রোনাল চাকমা, দর্শন বিভাগের ১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি কানন প্রমুখ।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরযুক্ত সম্মিলিত একটি দরখাস্ত পেয়েছি, তারা এতে আবাসিক হল খুলে দেওয়া এবং শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার দাবি রয়েছে।
“আমার তাদের দাবির প্রতি পজিটিভ। করোনা পরিস্থিতি আরেকটু স্বাভাবিক হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করব।”