ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
তিতাস যেন চোর-ডাকাতদের স্বর্গরাজ্যঃ প্রতিদিনই ঘটছে চুরি- ডাকাতি
কবির হোসেন
Published : Thursday, 11 February, 2021 at 5:22 PM
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় প্রতিনিয়ত ঘটছে চুরি ডাকাতির ঘটনা। একের পর এক এসব ঘটনা যেন নাথিং টু সে। কারোরই যেন কিছু করার নেই?
অনুসন্ধানে জানা যায় বুধবার  দিবাগত রাতে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের রতনপুর চকের বাড়িতে হানিফ মিয়ার ঘর থেকে নগদ টাকাসহ অন্যান্য দামী জিনিস নিয়ে যায়। ঘরের লোকজন টের পেয়ে চিৎকার করলে ডাকাত দল হানিফ মিয়ার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করে। পরে মসজিদের মাইকে  মাইকিং করলে ডাকাতদল মাইক্রোবাস দিয়ে পালিয়ে যায়।     
গত ১০ ফেব্রুয়ারি জগতপুর ইউনিয়নের প্রথম দশানিপাড়ার দু'টি বাড়ীতে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।  ইউনিয়নের প্রথম দশানী পাড়ার চকের বাড়ীর আবুল কাসেম এর বিল্ডিং ও দুচালাঘরের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা,স্বর্ণ অলংকারসহ ৫ টি  মোবাইল সেট নিয়ে যায় মুখোশ পরিত ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল। এসময় ডাকাত দল দশানী পাড়ার চকের বাড়ীর মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আবুল কাসেমকে (৬০) পিঠে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
গুরুতর আহত আবুল কাসেম বুধবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়।  তার পিটে ছয়টি সেলাই করা হয়েছে।  
এদিকে একই রাতে একই পাড়ার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মোঃ জহর মিয়ার (৬০) বিল্ডিং ও দু'চালা ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে জহর মিয়ার হাত পা বেধে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায় ডাকাত দল। এছাড়াও একই রাতে কাকিয়াখালী গ্রামের গিয়াস উদ্দিেেনর ঘরে ডাকাত দল প্রবেশ করে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে নগদ টাকা ও স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায়।    
 একই রাতে বাতাকান্দি বাজারস্থ মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্সের গোডাউন থেকে পলাশ বাসমতী ৩৪ বস্তা ও এসি আই কোম্পানির নাজির সাই ১০ বস্তাসহ মোট ৪৪ বস্তা চাউল নিয়ে গেছে ডাকাত দল। যার আনুমানিক আনুমানিক মূল্য ১ লক্ষ টাকা বলে জানান মেসার্স শাহ আমানত ট্রেডার্সের প্রোঃ মোঃ রুবেল সরকার।  
এছাড়াও ৭ ফেব্রুয়ারি রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে চর রাজাপুর বেপারী বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রের মুখে ১২-১৫ জনের একটি ডাকাত দল ঐ বাড়িতে অস্ত্রের মুখে সাইফুল ইসলামের স্ত্রী গৃহবধূ রোজিনাকে গণধর্ষণের হুমকি দিয়ে প্রতিটি কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রায় ১৭ লক্ষাধিক টাকার মালামালা নিয়ে যায়।  
এই বিষয়ে তিতাস উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার বলেন, এই বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে এবং তিতাস থানাকে আরও তৎপর হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে যদি  কারো কাছে কোন তথ্য থাকে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করব। অবশ্যই নাম, ঠিকানা গোপন রাখা হবে।