ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ইউএনও-এসিল্যান্ডসহ ৬ জনের নামে মামলা
Published : Friday, 12 February, 2021 at 12:00 AM
বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), এ্যাসিল্যান্ড ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকের জমি দখল নিয়ে সেখানে গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণের অভিযোগে বগুড়া আদালতে এ মামলা করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, ধুনট উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা, গোপালনগর ইউপি চেয়ারম্যান ও গোপালনগর ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা। আদালত মামলা আমলে নিয়ে ১৪ দিনের মধ্যে জবাব চেয়ে বিবাদীদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাদি পক্ষের আইনজীবী খোদা বক্স এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ মামলার বাদি হলেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ি গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আকবর আলী, তার ভাই মোজাফ্ফর আলী ও মা রহিমা খাতুনসহ একই পরিবারের ছয়জন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, আকবর আলী ও তার পরিবারের লোকজন কমপক্ষে শত বছর ধরে গজিয়াবাড়ি মৌজার ২৫ শতক জমি ভোগ দখল করছেন। এরমধ্যে ১৩ শতক জমি দখল নিয়ে সেখানে গৃহহীন আট পরিবারে জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ করেছেন ইউএনও। গত ২০ জানুয়ারি ঘরের উদ্বোধন করা হয়েছে।
জমির মূল মালিক দাবিদার আকবর আলী, মোজফ্ফর আলী ও রহিমা খাতুনসহ পরিবারের লোকজন বলেন, জমিটি আমাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। দীর্ঘ এক-দেড়শ বছর ধরে আমরা এ জমি ভোগদখল করে আসছি। হঠাৎ করে ইউএনও, চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা এসে বলেন এই জমি খাস খতিয়ানের। এই বলে তারা জমিতে ঘর নির্মাণ শুরু করেন। আমরা কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তারা বলেন, আমাদের কাগজ দেখার প্রয়োজন নেই। আদালতে গিয়ে দেখান। উপায় না পেয়ে ২৬ জানুয়ারি আমরা আদালতে মামলা করি (নম্বর ২২/২০২১)। আদালাত কাগজপত্র দেখে বিবাদিদের বিরুদ্ধে কারণে দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই, ইয়ার আলী, মেহের আলী, দুদু মিয়াসহ বেশ কয়েকজন বয়স্ক মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ওই জমি একশ বছরের বেশি সময় ধরে আকবর আলীর বাপদাদারা ভোগদখল করে আসছে। হঠাৎ সরকারের লোকজন কোনো কথা না শুনেই এখনে জোর করে ঘর নির্মাণ করেছে।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত বলেন, বাদি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে সরকারি জায়গা দখল নিয়ে ভোগদখল করছিল। তারা এ জমির কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এ কারণে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। তারা মিথ্যা আরজি দিয়ে আদালতে মামলা করেছে। আদালত থেকে প্রাপ্ত শোকজ নোটিশের জবাব যথা সময়ে দাখিল করা হবে।