ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
স্ত্রীকে অপহরণ মামলায় ২০ বছর দ-িত সেই ব্যক্তির জামিন
Published : Friday, 12 February, 2021 at 12:00 AM
স্ত্রীর প্রথম স্বামীর করা অপহরণ মামলায় বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার শাহ আলমকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে যৌতুকের মামলায় তিন বছরের দ-াদেশ থাকায় তিনি জামিন পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
এ মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া ২০ বছরের দ-ের বিরুদ্ধে শাহ আলমের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে এদিন শাহ আলমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.সারওয়ার হোসেন বাপ্পি।
আইনজীবীরা জানান, বরগুনা উপজেলা পাথরঘাটা উপজেলার ফাতেমা বেগম ২০১২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি তার স্বামী জাকির হোসেনকে তালাক দিয়ে শাহ আলমকে বিয়ে করেন। ওই বছরের ৫ মে ফাতেমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে শাহ আলমসহ আটজনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় মামলা করেন জাকির হোসেন।
এ মামলায় ফাতেমা বরগুনার পাথরঘাটার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দিতে বলেন, ‘আমাকে শাহ আলম অপহরণ করেননি। শাহ আলমকে আমি মাসখানেক আগে স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি। ২০০৭ সালে জাকিরের সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু জাকিরের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে শাহ আলমকে বিয়ে করি। দ্বিতীয় বিয়ের চার-পাঁচ মাস আগে জাকিরকে তালাক দেই। সে এখন আর আমার স্বামী নয়। আমাকে কেউ অপহরণ করেনি।’
বিচার শেষে ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান আসামি শাহ আলমকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদ- ও এক লাখ টাকা অর্থদ- দিয়ে রায় দেন। অর্থদ- অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, ‘ফাতেমা অপহরণ হননি এবং প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছেন বলে ২২ ধারায় যে জবানবন্দি দিয়েছেন তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় মনে হচ্ছে, ডিভোর্স না দিয়েই তিনি শাহ আলমের কাছে চলে গেছেন। আইনের চোখে এটা অপরাধ মনে হওয়ায় আসামিকে শাস্তি দেয়া হয়েছে।’
এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন শাহ আলম। সে আবেদনের সঙ্গে জামিন আবেদনও করেন শাহ আলম।
২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রথম সন্তান এবং ২০১৮ সালের ১৮ আগস্ট দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন শাহ আলম-ফাতেমা দম্পতি।