ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
স্বামীকে ভালো কাজে আগ্রহী করতে স্ত্রীর করণীয়
Published : Friday, 12 February, 2021 at 12:00 AM
নেকের কাজে উৎসাহ যোগাতে স্বামীর জন্য নেককার স্ত্রীর বিকল্প নেই। একজন স্ত্রী চাইলে তাঁর স্বামীকে কল্যাণের দিকে ধাবিত করতে পারে। নেককার স্ত্রীর অন্যতম গুণ এটি। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনটি ঘোষণা করেছেন। কিন্তু কীভাবে তা সম্ভব?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘বিয়ের জন্য দ্বীনদার/ধার্মিক মেয়েকে পছন্দ করা মোস্তাহাব।’ (মুসলিম)
‘আল্লাহ যাকে পুণ্যময়ী স্ত্রী দান করেছেন, তাকে তার অর্ধেক দ্বীনে সাহায্য করেছেন।’ বলে উল্লেখ করেছেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
অন্য হাদিসে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নেককার স্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব তুলে ধরে স্বামীদের জানিয়ে দিয়েছেন যে-
‘শোকরকারী হৃদয়, জিকিরকারী জিহ্বা এবং পুণ্যময়ী স্ত্রী; যে তোমাকে তোমার দুনিয়া ও দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করে, এ সব হল মানুষের জন্য সঞ্চিত সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ।’
সুতরাং একজন স্ত্রী চাইলে তার স্বামীকে দ্বীনের ব্যাপারে পুরোপুরি আগ্রহী করে গড়ে তুলতে পারে। ইবাদত-বন্দেগিসহ কল্যাণের যে কোনো কাজে ধাবিত করতে পারে। এ জন্য নেককার স্ত্রী ভূমিকা অনেক বেশি।
যেমন উদাহরণ স্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে-
নামাজের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ার ব্যাপারে উৎসাহ যোগাতে পারে। ফলে সে ঘরে নামাজ না পড়ে মসজিদে আদায় করলে ২৫/২৭ গুণ সাওয়াব বেশি পাবে।
আবার কোথাও জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা শোনা গেল স্বামীকে জানাজায় যাওয়ার ব্যাপারে উৎসাহ যোগাতে পারে। কেননা জানাজায় অংশগ্রহণে রয়েছে ওহুদ পাহাড় পরিমাণ সাওয়াব লাভের ঘোষণা। হাদিসে পাকে জানাজায় অংশগ্রহণের সাওয়াবের ব্যাপারে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নিশ্চয় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মৃত মুসলিম ব্যক্তির জানাজায় ঈমানের সঙ্গে সাওয়াবের নিয়তে শরিক হয় এবং তার জানাজা আদায় ও দাফন পর্যন্ত থাকে; তবে সে দুই কেরাত সাওয়াব নিয়ে ফিরবে। যার প্রতি কেরাত হলো ওহুদ পাহাড়ের সমান। আর জানাজা পড়ে দাফনের আগে ফিরে আসলে সে এক কেরাত নেকি নিয়ে ফিরবে।’ (বুখারি, মুসলিম)
স্বামীকে দ্বীনের দিকে, কল্যাণের দিকে সহযোগিতা করলে স্ত্রী কী লাভ?
এভাবে স্বামীকে দ্বীন বা কল্যাণের প্রতি উৎসাহদাতা, সহযোগী, দ্বীনদার স্ত্রীরা তাদের স্বামীদের সঙ্গে জান্নাতে প্রবেশ করবেন। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন-
‘তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের নিয়ে সানন্দে চিরস্থায়ী জান্নাতে প্রবেশ কর।’ (সুরা যুখরুফ : আয়াত ৭০)
এতে উভয়ের জন্যই রয়েছে কল্যাণ। এ কারণেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ যাকে পুণ্যময়ী স্ত্রী দান করেছেন, তাকে তার অর্ধেক দ্বীনে সাহায্য করেছেন।’
সুতরাং নেককার স্ত্রীদের উচিত, তারা নিজেদের স্বামীদের সব সময় কল্যাণের কাজে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ দেয়া। দ্বীনের কাজে সহযোগিতা করা। তবেই দুনিয়া ও পরকালে শান্তি ও কল্যাণে ভরে উঠবে তাদের জীবন। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব নারী-পুরুষকে পস্পরের জন্য কল্যাণের কাজের সহযোগী হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।


নেক সন্তান পাওয়ার কুরআনি আমল ও দোয়া
সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে তাঁর প্রার্থনা ছিল অবিরত। তিনি হলেন হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালাম। যিনি বার্ধক্যে উপনীত হওয়ার পরও মহান আল্লাহ তাআলা তাঁকে দান করেছিলেন একজন নেক সন্তান। কী দোয়া করেছিলেন তিনি? সন্তান লাভের কার্যকরী আমলই বা কী?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক মর্যাদাপূর্ণ বিষয় আর নেই।’ (তিরমিজি) আর আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে তাঁর কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন- তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা মুমিন : আাত ৬০)
হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের নেক সন্তান পাওয়া প্রার্থনা ছিল খুবই পছন্দনীয়। তাঁর সেই কার্যকরী আমল ও দোয়া কবুলের কথা কুরআনুল কারিমে একাধিক স্থানে ওঠে এসেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘আর যাকারিয়ার কথা স্মরণ করুন, যখন সে তার পালনকর্তার কাছে (দোয়া) আহ্বান করেছিল-
উচ্চারণ : রাব্বি লা তাজারনি ফারদাও ওয়া আংতা খায়রুল ওয়ারিছিন।’
অর্থ : ‘হে আমার পালনকর্তা! আমাকে একা রেখো না। তুমি তো উত্তম ওয়ারিস (দানের অধিকারী)।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৮৯)
দোয়া কবুলের আমল
আল্লাহ তাআলা হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামের দোয়া কবুল করেছিলেন। তাঁকে বাধ্যর্কে দান করেছিলেন ছেলে সন্তান। তবে সন্তান লাভে আমল কেমন হতে হবে; কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা সে কথাও উল্লেখ করেন-
‘তারপর আমি তার দোয়া কবুল করেছিলাম, তাকে দান করেছিলাম ইয়াহইয়া এবং তার জন্যে তার স্ত্রীকে প্রসব যোগ্য করেছিলাম। তারা সৎকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ত, তারা আশা ও ভীতি সহকারে আমাকে ডাকত এবং তারা ছিল আমার কাছে বিনীত।’ (সুরা আম্বিয়া : আয়াত ৯০)
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলা হজরত জাকারিয়া আলাইহিস সালামকে সন্তান দানের কথা তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি কীভাবে দোয়া করতে হবে তা-ও বর্ণনা করেছেন। দোয়া করার সময় অবশ্যই তাঁর আমল হতে হবে এমন-
- সন্তান পাওয়া আশা করতে হবে।
- দোয়ার আবেদনে থাকতে হবে ভয়।
- দোয়ার সময় বিনয়ী হতে হবে।
- সর্বোপরি সব সময় সৎ কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে।
উল্লেখিত দোয়া বেশি বেশি পড়তে হবে। তবেই মহান আল্লাহ তার বান্দাদের সন্তান দানে ধন্য করতে পারেন।
আল্লাহ তাআলা নিঃসন্তান দম্পতিদের সন্তান লাভে আল্লাহর কাছে কুরআনের শেখানো ভাষায় দোয়া করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


আল্লাহর ওপর ভরসা রাখার বিশেষ প্রতিদান
ভরসা তো তার ওপরই করা যায়, যে সর্বাবস্থায় সাহায্য করতে পারেন। কাউকে সাহায্য করতে যার কারও কাছে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। যিনি নিজেই সর্বে সর্বা। তিনি আর কেউ নন; তিনিই হলেন মহান আল্লাহ তাআলা। ‘আল্লাহুল মুস্তাআন বা মহান আল্লাহ তাআলাই বান্দার একমাত্র সাহায্যস্থল।
আল্লাহ তাআলা মানুষের রব। মানুষ সব বিষয়ে তার ওপর ভসরা করবে এটাই স্বাভাবিক ও নিয়ম। কিন্তু তারপরও মহান আল্লাহ কুরআনে তার ওপর ভরসা স্থাপনকারীর ব্যাপারে দিয়েছেন সুসংবাদ। হাদিসে বিশেষ প্রতিদানের কথা বলেছেন বিশ্বনবি। আল্লাহর ওপর ভরসাকারীর সেই বিশেষ প্রতিদান কী?
‘হ্যাঁ’, মহান আল্লাহ কুরআনের অনেক সুরায় তাঁর ওপর আস্থা ও ভরসা রাখার কথা বলেছেন বার বার। তার ওপর ভরসা রাখলে আল্লাহ তার সব ব্যাপারে যথেষ্ট হবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘যে আল্লাহকে ভয় করে, তিনি তার জন্য উত্তরণের (মুক্তির) পথ তৈরি করে দেন। আর তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন; যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল বা ভরসা করে; আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই।’ (সুরা তালাক : আয়াত ২-৩)
আল্লাহর ওপর ভরসাকারীদের জন্য দুনিয়া ও পরকালের বিশেষ দুইটি প্রতিদানের কথা ঘোষণা করেছেন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। হাদিসের সুস্পষ্ট বর্ণনা থেকে তা প্রমাণিত।
> দুনিয়ার বিশেষ প্রতিদান
দুনিয়ায় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ প্রতিদান পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে- আল্লাহ তাআলার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হওয়া। হাদিসে এসেছে-
হজরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ তাআলার ওপর নির্ভরশীল হতে তাহলে পাখিদের যেভাবে রিজিক দেয়া হয়; সেভাবে তোমাদেরও রিজিক দেয়া হতো। এরা (পাখি যেমনিভাবে) সকালবেলা খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যা বেলায় ভরা পেটে ফিরে আসে।’ (ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ )
> পরকালের বিশেষ প্রতিদান
আল্লাহর ওপর ভরসাকারীদের জন্য পরকালের বিশেষ প্রতিদান হলো বিনা হিসেবে জান্নাত লাভ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দীর্ঘ এক হাদিসে বিনা হিসেবে জান্নাত পাওয়া ব্যক্তিদের বর্ণনা দিয়েছেন। তাতে এক শ্রেণি হলো- যারা মহান আল্লাহর ওপর ভরসা করে।
- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মত থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তাদের অন্যতম গুণ এই যে- তারা আল্লাহর ওপর ভরসা করবে।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)
এছাড়া বিনা হিসেবে কারা জান্নাতে যাবে সে সম্পর্কে দীর্ঘ একটি হাদিস বর্ণনা করেছেন প্রিয় নবি। তাহলো-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবায়ে কেরামের সামনে বর্ণনা করছিলেন, ‘আমার কাছে সব (নবির) উম্মত পেশ করা হল। আমি দেখলাম, কোনো নবির সঙ্গে কতিপয় (৩ থেকে ৭ জন) অনুসারী রয়েছে। কোনো নবির সঙ্গে এক অথবা দুইজন রয়েছে। আবার কোনো কোনো নবিকে দেখলাম তার সঙ্গে কেউই নেই।
এমন সময় অনেক বড় একটি জামাআত আমার সামনে পেশ করা হল। আমি মনে করলাম, এটিই আমার উম্মত। কিন্তু আমাকে বলা হল যে, এটি হল হজরত মুসা আলাইহিস সালাম ও তাঁর উম্মতের জামাআত। কিন্তু আপনি অন্য দিগন্তের দিকে তাকান।
অতপর আমি অন্য দিগন্তে তাকাতেই আরও বড় একটি জামাআত দেখতে পেলাম। আমাকে বলা হল যে- ‘এটি হল আপনার উম্মত। আর তাদের সঙ্গে রয়েছে এমন ৭০ হাজার ব্যক্তি; যারা বিনা হিসাব ও আজাব ভোগ কা ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে।’
এ কথা বলেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উঠে নিজ বাসায় প্রবেশ করলেন। আর এদিকে উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম ওই সব বিনা হিসাবে জান্নাতিদের ব্যাপারে বিভিন্ন আলোচনা শুরু করে দেয়-
- কেউ কেউ বলল, ‘সম্ভবত ওইসব লোকেরা হল তারা, যারা আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাহাবাগণ।
- কিছু লোক বলল, বরং সম্ভবত ওরা হল তারা, যারা ইসলামের ওপর জন্মগ্রহণ করেছে এবং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করেনি। এভাবে আরও অনেকে অনেক কিছু বলল।
কিছুক্ষণ পর...
আল্লাহর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কাছে বের হয়ে এসে জানতে চাইলেন- তোমরা কী ব্যাপারে আলোচনা করছ? সাহাবায়ে কেরাম জানালেন, বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন; তারা কারা?
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল।লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘ওরা হল সেইসব ব্যক্তি-
-যারা ঝাঁড়ফুঁক করে না এবং ঝাঁড়ফুঁক করায় না।
- আর কোনো জিনিসকে অশুভ লক্ষণ বলেও মনে করেন না। বরং
- তারা শুধুই মহান আল্লাহ তাআলার প্রতি আস্থা এবং বিশ্বাস রাখেন।
এ কথাগুলো শুনেই হজরত উক্কাশাহ ইবনে মিহসান রাদিয়াল্লাহু আনহু উঠে দাঁড়ালেন এবং বললেন-
‘(হে আল্লাহর রাসুল!) আপনি আমার জন্য দোয়া করুন, যেন আল্লাহ তাআলা আমাকে তাদের দলভুক্ত করে দেন! রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সঙ্গে সঙ্গেই) বললেন, তুমি তাদের মধ্যে একজন।’
অতপর আরও এক ব্যক্তি উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আপনি আমার জন্যও দোয়া করুন, যেন আল্লাহ আমাকেও তাদের দলভুক্ত করে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘‘উক্কাশাহ (এ ব্যাপারে) তোমার চেয়ে অগ্রগামী।’ (বুখারি ও মুসলিম)
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, সব কাজে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা। আল্লাহর ওপর আস্থা ও ভরসা রাখার মাধ্যমে দুনিয়ায় রিজিক ও পরকালে বিনা হিসেবে জান্নাত পাওয়ার চেষ্টা করা।
কেননা আল্লাহর ওপর ভরসা করা এবং শুধু আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করার গুরুত্ব যেমন অপরিসীম তেমনি মুমিন মুসলমানের জন্য তাঁর ওপর ভসরা করা অপরিহার্য কাজও বটে। তাই আল্লাহকে ভুলে গাফেল বা অজ্ঞদের তালিকায় নাম লেখানো থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের ঈমানের একান্ত দাবি।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে শুধু তাঁর ওপরই ভরসা করার তাওফিক দান করুন। মানুষের মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের বর্ণিত দুনিয়া ও পরকালের বিশেষ প্রতিদান পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।