লড়াকু ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ করল উইন্ডিজ
Published : Saturday, 13 February, 2021 at 12:00 AM
তারা
খেলতে এসেছে হাজার মাইল দূরের দেশে। দলে নেই সেরা তারকারা। তারপরেও মিরপুর
শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুগ্ধতা ছড়াল ক্যারিবিয়ান
ব্যাটসম্যানরা। অতিথিদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৪০৯ রানে। তারা যে এতটা দূর
যাবে সেটা বাংলাদেশ শিবির হয়তো কল্পনাও করেনি। দুই দিনের পাঁচ সেশনে তারা
খেলেছে ১৪২.২ ওভার। পিওর টেস্ট প্লেয়িং যাকে বলে। সেইসঙ্গে দেখা গেছে তাদের
অসাধারণ লড়াকু মানসিকতা। হাল না ছাড়ার মানসিক জোর।
ক্যারিবীয়দের তিনজন
ব্যাটসম্যান ফিফটি করেছেন। তিনজনই সেঞ্চুরির খুব কাছ থেকে ফিরেছেন।
চট্টগ্রাআম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ জেতানো ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন
কাইল মেয়ার্স। ঢাকায় প্রথম ইনিংসে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাতে কি? দায়িত্ব
নিয়েছেন বাকিরা। এনক্রুমা বোনার ২০৯ বলে খেলেছেন ৯০ রানের ইনিংস। এরপর
জসুয়া ডি সিলভা করেছেন ১৮৭ বলে ৯২। জসুয়ার সঙ্গে সপ্তম উইকেট জুটিতে
ক্যারিবীয় পেসার আলজারি জোসেফ যা করলেন, তা রীতিমতো ইতিহাস হওয়ার যোগ্য।
সপ্তম
উইকেট জুটিতে এসেছে ১১৮ রান। আলজারি জোসেফ একাই করেছেন ৮২। তার ১০৮ বলের
ইনিংসে ছিল ৮টি চার এবং ৫টি ছক্কার মার। বাংলাদেশি বোলারদের নিয়ে তিনি
রীতিমতো ছেলেখেলা করেছেন। ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম
টেস্টের প্রথম ইনিংসে শচীন টেন্ডুলকারের সঙ্গে শেষ উইকেটে ১৩৩ রানের জুটি
গড়েছিলেন ১১ নম্বরে নামা পেসার জহির খান (৭৫)। শচীন করেছিলেন ২৪৮। আলজারির
ব্যাটিং আজ সেই দিনের কথাই যেন মনে করিয়ে দিল। মিরপুর টাইগারদের হোম
গ্রাউন্ড। হাতের তালুর মতো চেনা মাঠ। এই মাঠটাই যেন আজ অচেনা হয়ে গিয়েছিল
স্বাগতিকদের কাছে।
এটা ঠিক যে, বাং লাদেশি বোলাররা ১০ উইকেট নিতে
পেরেছে। অতিথিদের স্কোরের পাশে লেখা হয়েছে 'অল-আউট' শব্দটি। কিন্তু তারপরেও
তাদের স্কোর কিন্তু ৪০৯। বাংলাদেশও চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে করেছিল
৪৩০ রান। কিন্তু চতুর্থ ইনিংসে বোলারদের ব্যর্থতায় লজ্জার হার বরণ করতে
হয়েছে। অধিনায়ক মুমিনুল যথারীতি বলেছেন, এই ম্যাচের ভুল থেকে শিা নিয়েৃৃৃ।
এবার দেখার, ক্যারিবীয়দের ছুড়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবেলা করে টাইগার
ব্যাটসম্যানরা। তাহলেই অধিনায়ক মুমিনুলের বক্তব্যের প্রমাণ মিলবে হাতে
নাতে।