সম্প্রতি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে সেনাবাহিনীর মানবতা-বিরোধী অপরাধের তদন্ত করার আহ্বান জানিয়ে চিঠি লিখেছেন দেশটির পার্লামেন্টের ৩০০ সদস্য।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সংস্থার মানবাধিকার সংরক্ষণ কাউন্সিলে এই চিঠি লেখা হয়। এদিকে জাতিসংঘের মিয়ানমার বিষয়ক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, চলমান বিক্ষোভে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সরাসরি গুলি চালানোর প্রমাণ আছে।
আগের দিনগুলোর ধারাবাহিকতায় মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন দেশটির সাধারণ মানুষ। তারা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবি জানান।
আন্দোলনকারীরা সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে চাপ প্রয়োগের জন্য, চীনসহ অন্যান্য দেশের দূতাবাসের সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাদা আল নাসিফ বলেন, 'কঠিন লড়াইয়ের মাধ্যমে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার পর মিয়ানমার আবারো সংকটের মধ্যে পড়েছে। দেশটিতে যে অভ্যুত্থান হয়েছে, তা সাধারণ নাগরিকদের জন্য চরম বিশ্বাসঘাতকতা।'
তবে দেশের কল্যাণে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছে বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিন্ট তিউ জানান, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির পর যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে সামরিক বাহিনীর জন্য অন্য কোনো বিকল্প ছিল না। সংবিধান রক্ষার জন্যই সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করেছে। সূত্র: বিবিসি।