জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ২৩১ রান। অর্থাৎ নিজেদের আগের সব রেকর্ড ভেঙে জিততে হবে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ দলের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড ২১৭ রানের। রেকর্ডটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২১৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ।
এবার ঘরের মাঠে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে গড়া রেকর্ড ভাঙার মিশনে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। সেলক্ষ্যে দুরন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ।
উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ তুলেছে ৫৯ রান। এর মধ্যে তামিম ইকবালেরই ৪৪ রান। টেস্টকে ওয়ানডে বানিয়ে ছাড়ছেন এ ড্যাশিং ওপেনার।
বল মোকাবিলার চেয়ে এখনও পর্যন্ত রানসংখ্যা বেশি। ইতিমধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন। ৪৪ বলে তার রান ৫০। সুইপ শট খেলে ৯টি বাউন্ডারি তুলে নিয়েছেন ইতিমধ্যে।
কিন্তু অপরপ্রান্তে তামিমের মতো আগ্রাসী ছিলেন না সৌম্য সরকার। দেখেশুনে ধরে রেখে খেলে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ সৌম্য।
৩৪ বল খেলে ১৩ রান করে আউট হয়ে গেছেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্রাথওয়েটের অফ-ব্রেকে। নিজের প্রথম ওভারেই সৌম্যকে স্লিপে দাঁড়ানো কর্নওয়ালের ক্যাচে পরিণত করেন ব্রাথওয়েট।
এর আগে মধ্যাহ্নবিরতির পর ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ২৯ বলে ১৬ রান যোগ করে শেষের ৪ উইকেটের পতন ঘটে।
এর আগে প্রথম সেশনেও ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের কেউ দাঁড়াতে পারেননি।
প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে বাংলাদেশ রান দিয়েছে ৫৭। উইকেট তুলে নিয়েছে ৩টি। রাহি-তাইজুল অল্প রানে ফিরিয়েছেন মেয়ার্স ও ব্ল্যাকউডকে।
বাংলাদেশ দলের মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারত জসুয়া-বোনার জুটি। প্রথম ইনিংসে এ জুটি ছিলেন দুর্দান্ত। যথাক্রমে ৯০ ও ৯২ রানের বীরোচিত ইনিংস খেলেন বোনার ও জসুয়া।
আজ এ দুই মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে গেলে কিচ্ছু করার থাকত না বাংলাদেশের। কিন্তু সেই শঙ্কাও দূর করেন তাইজুল।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় ওভারেই জসুয়া-বোনার জুটিতে ভাঙন ধরান এ বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুলের ওভারের তৃতীয় বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ তুলে দেন জসুয়া। মুহূর্তেই তা লুফে নেন সৌম্য সরকার। মধ্যাহ্নবিরতির যাওয়ার আগে করা ২০ রানের সঙ্গে একটি রানও যোগ করতে পারেননি জসুয়া।
এরপর ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি আলজারি জোসেফও। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলেই জোফেসকে সাজঘরের পথ দেখান তাইজুল। সিলি মিড-অফে দাঁড়ানো শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ৯ রানে ফিরেন জোসেফ।
জোসেফের পর টিকলেন না বোনারও। নাঈমের বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে সরাসরি বোল্ড হলে বোনার। ১২০ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন তিনি।
একই ওভারে নাঈমের শিকার হয়ে ১ রান করে ফিরলেন কর্নওয়াল। ১১৭ রানে অলআউট হয়ে গেল ওয়েষ্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের পক্ষে ২১ ওভার করে মাত্র ৩৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল। নাঈম হাসান ১৫.৫ ওভার করে ৩৪ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৩টি। পেসার আবু জায়েদ রাহি পেয়েছেন দুটি ও মিরাজ পেয়েছেন একটি উইকেট।