ঢাকা মহানগরের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। গত ২৭ জানুয়ারি থেকে (মঙ্গলবার) ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট টিকা গ্রহীতার মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ২২ হাজার ১৯ জন ও নারী এক লাখ ১৩ হাজার ১৭১ জন। এ সময়ে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন ১০৫ জন।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা মহানগরীতে টিকা গ্রহণ করেছেন ২৯ হাজার সাত জন। তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৮ হাজার ৬৭০ জন এবং নারী ১০ হাজার ৩৩৭ জন। এ সময়ে টিকার বিরূপ বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্ট করেছেন চার জন।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (এমআইএস ও লাইন ডিরেক্টর এইচআইএস অ্যান্ড ই-হেলথ) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।
ঢাকা ঢাকা মহানগরের যে ৪৭টি প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম চলছে সেগুলো হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ, ঢাকা), সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ, সাভার), বিএনএস হাজী মহসিন, বিএএফ বাশার, বিএএফ বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয় ক্লিনিক, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল (ফুলবাড়িয়া), মোহাম্মদপুর ফার্টিলিটি সার্ভিসেস অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার এবং ১০০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল, মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (আজিমপুর), মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (মাতুয়াইল), কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল (রাজারবাগ), কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা হাসপাতাল।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতাল (শ্যামলী), সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল (মহাখালী), কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান, ঢাকা মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল, ডেন্টাল কলেজ (মিরপুর, ঢাকা), শিশু হাসপাতাল (শ্যামলী), ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি, জাতীয় মানসিক ইনস্টিটিউট, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতাল, জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট।
ঢাকা শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় বাতজ্বরজনিত হৃদ রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র, নগর মাতৃসদন (কসাইটুলি, বংশাল), নগর মাতৃসদন (হাজারীবাগ পার্ক, হাজারীবাগ), সীমান্তিক মাতৃসদন (গোলাপবাগ, ধলপুর), সীমান্তিক নগর মাতৃসদন (তিলপাড়া, খিলগাঁও), বর্ডার গার্ড হাসপাতাল (ঢাকা), সেন্ট্রাল ক্লিনিক, র্যাব ফোর্সেস (সদর দফতর, উত্তরা), ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
ঢাকা মহানগরীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ১৯ হাজার ৮৬৫ জন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের টিকাদান কেন্দ্র থেকে টিকা গ্রহণ করেছেন।
এছাড়া ঢাকা মহানগরের যেসব প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজারেরও বেশি টিকা প্রদান করা হয়েছে সেগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (১১ হাজার ৫৪৪ জন), শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল (১২ হাজার ৯৫৫ জন), মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (১৩ হাজার ৫৭০ জন), জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট (১৫ হাজার ৮৬৬ জন), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল (১১ হাজার ছয় জন) এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সেস ও হাসপাতাল (১০ হাজার ২৯০ জন)।
৪৭টি টিকাদান কেন্দ্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৫ জন রিপোর্ট করেছেন। তার মধ্যে সর্বোচ্চ ৩১ জন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিপোর্ট করেছেন।