ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারী-শিশুসহ আহত ৫
Published : Tuesday, 2 March, 2021 at 12:12 PM
 ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাস্তায় বালু ফেলার জের ধরে হিন্দু পরিবারের লোকজনের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার রাত প্রায় ৮টার দিকে দিকে জেলা সদরের পৌর এলাকার মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন পীযুষ মল্লিক (৪৮), তাঁর স্ত্রী রিতা রানি মল্লিক (৩৭), ছেলে প্রাঞ্জন মল্লিক (৯), বাড়ির কাজের বুয়া পুষ্প রানী (২৭)।

স্থানীয় লোকজন ও আহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতে ট্রাকে করে বালু এনে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুসলিম মিয়ার বাড়ির সামনের পুকুরের উত্তর এবং বাড়ির সামনের রাস্তার দক্ষিণদিকে বালু রাখেন পীযুষ মল্লিক। এসময় মুসলিম মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া ট্রাক চালককে বালু রাখতে বাঁধা প্রদান করে। কথা কাটাকাটি এক পর্যায়ে পীযুষকে মারধর করেন সুমন। এ ঘটনার পর পীযুষ ভয়ে বাড়ি চলে যান। ঘটনার প্রায় আধা ঘণ্টা পর মুসলিম মিয়ার ছেলে আল মামুন, সুমন মিয়া, তাদের আত্মীয় সদর উপজেলার নাটাই গ্রামের কামাল মিয়াসহ ২০-২৫জনের একটি দল পীযুষের ভাড়া বাসায় গিয়ে জানালার কাঁচ ভাংচুর চালিয়ে দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে পীযুষকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ঘরর থাকা কাজের বুয়া পুষ্পকে রড দিয়ে মাথায় ও ডান হাতে আঘাত করেন। পীযুষকে বাঁচাতে স্ত্রী রিতা রানী এগিয়ে আসলে তাকেও কিল, ঘুষি ও লাথি মারে, তাঁর ছেলে প্রাঞ্জন মল্লিককেও মারধর করে তারা। এসময় ঘরের জিনিসপত্র ভাংচুর করা হয়।
বাড়ির তৃতীয় তলায় বসবাসকারী আইনজীবী মো. আজিজ জানান, ফটকে মানুষের হৈ চৈয়ের শব্দ শুনে নিচে গিয়ে পীযুষ ও তার স্ত্রীকে মারধর করতে দেখি। তাদের রক্ষায় এগিয়ে গেলে আমাকেও কিল ঘুষি মারে।

পীযুষ মল্লিক বলেন, রাস্তায় বালু রাখায় সুমন আমাকে মারধর করে। পরে আমি বাড়ি চলে আসি। এরপর তারা বাড়িতে এসে আমাদের ওপর হামলা চালায়। রাতে আমার স্ত্রী রিতা রানি মল্লিক বাদী হয়ে সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

মুসলিম মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া বলেন, সন্ধ্যায় বালু ফেলার বিষয় নিয়ে সুমনের সঙ্গে পীযুষের কথা কাটাকাটি হয়। সুমনকে মারতে এগিয়ে আসে পীযুষ। সুমন রেগে পীযুষকে কয়েকটি চৎ থাপ্পৎ মেরেছে। বিষয়টি জিজ্ঞেস করতে আমি সঙ্গে দুই-তিনজনকে নিয়ে পীযুষের বাড়িতে যাই। সেখানে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।