রণবীর ঘোষ কিংকর: কুমিল্লার চান্দিনায় কাভার্ডভ্যান ভর্তি গার্মেন্টেস পণ্য আত্মসাতের চেষ্টা কালে চক্রের ৮জনকে আটক করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)-১১।
শুক্রবার (৫ মার্চ) রাত পৌঁনে ১১টায় চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের ভাগুচি এলাকা থেকে এক কোটি টাকা মূল্যের গার্মেন্টস পণ্যসহ কাভার্ডভ্যানটি উদ্ধার করে র‌্যাব। ঘটনার সাথে জড়িত ৮জনকে আটক করলেও আরও চক্রের ৭জন পালিয়ে যায়।
আককৃতরা হলো- খাগড়াছড়ি জেলার মানিকছড়ি থানাধীন হাটিমোড়া গ্রামের মৃত তারাব আলীর ছেলে মো. জয়নাল আবেদীন (৪০), সে চট্টগ্রাম পাহাড়তলি থানাধীন সাগরিকা ভিটেক এলাকায় ভাড়ায় বসবাস করে। একই জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার পলাশপুর গ্রামের ইউনুছ মিয়ার ছেলে মো. মাসুম বিল্লাহ (২৭), নোয়াখালী জেলার চরজব্বার উপজেলাধীন সুবর্ণচর গ্রামের আমীর হোসেন এর ছেলে রিয়াজ (২৮), একই গ্রামের মো. রাশেদ (২৬), কুমিল্লার জেলার চান্দিনা উপজেলার ছোট কলাগাঁও গ্রামের মৃত আলী মিয়ার ছেলে মো. আহাম আলী (৪৫), চট্টগ্রাম জেলার জোরারগঞ্জ উপজেলাধীন উত্তর সোনারপাড় এলাকার মৃত রঙ্গু মিয়ার ছেলে মো. জমির আলী (৬৫), একই গ্রামের মৃত জাকির হোসেন এর ছেলে মোশারফ হোসেন (৪০), ওবায়দুল হক এর ছেলে মো. দিদারুল আলম (২৮)।
এ ঘটনায় শনিবার (৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়গঞ্জের আদমজী র‌্যাব-১১ এর নায়েব সুবেদার মো. মজিবুর রহমান বাদী হয়ে চান্দিনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান- শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানাধীন পাখিরমোড় এলাকায় টহলরত অবস্থায় জানতে পারি, গাজীপুর থেকে কাভার্ডভ্যান গার্মেন্টস পণ্য রপ্তানীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি চালক ও হেলপারের সহযোগিতায় একটি চক্র ওই মালামাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে চান্দিনার ভাগুচি ব্রীজ এলাকায় পণ্যগুলো চুরি করছে। খবর পেয়ে আমরা রাত পৌঁনে ১১টায় ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে হাতে-নাতে ৮জনকে আটক করি এবং ৭জন পালিয়ে যায়। এসময় অন্তত ১ কোটি টাকা মূল্যের গার্মেন্টেস পণ্য উদ্ধার করি এবং কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করি। পরবর্তীতে জানতে পারি পণ্যগুলো ‘আলফা ড্রেসওয়্যাার লিঃ’ নামে একটি ফেক্টরীর জন্য। রপ্তানীর উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম নিয়ে যাচ্ছিল।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামসউদ্দিন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান- র‌্যাব-১১ থেকে ৮জন আসামীসহ কাভার্ডভ্যান ভর্তি পণ্যগুলো থানায় জমা দেয় এবং একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।