উপমহাদেশে খেলতে এলে প্রতিবারই আবহাওয়ার কারণে নানাবিদ সমস্যায় পড়তে হয়ে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটারদের। ব্যতিক্রম হলো না এবারও। ভারতের অতিরিক্ত গরমে নাস্তানাবুদ হয়েছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা।
চলতি মাসের শুরুতে আহমেদাবাদের মোতেরায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্ট খেলেছে ইংল্যান্ড। যেখানে ইনিংস ও ২৫ রানের ব্যবধানে হেরে সিরিজের শিরোপাও হাতছাড়া করেছে ইংলিশরা।
সিরিজে হারার পাশাপাশি শারীরিকভাবেও দুর্বল হয়ে পড়েছেন বেন স্টোকস, জ্যাক লিচরা। আহমেদাবাদের শেষ ম্যাচটি খেলার সময় তাপমাত্রা ছিল ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এত গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস খুব একটা নেই ইংলিশ ক্রিকেটারদের।
যার ফলে ম্যাচের তিনদিন ও এর আগে-পরের এক সপ্তাহ সময়ের মধ্যে প্রায় ৫ কেজি ওজন হারিয়েছেন স্টোকস। একই অবস্থা ডম সিবলি, জিমি অ্যান্ডারসনদের। বাঁহাতি স্পিনার জ্যাক লিচকে বারবার মাঠ ছেড়ে যেতে হয়েছে অসহ্য গরমের কারণে।
ইংলিশ সংবাদমাধ্যম মিরর স্পোর্টকে এ কথা জানিয়ে স্টোকস বলেছেন, ‘খেলোয়াড়রা ইংল্যান্ড দলের প্রতি সবসময়ই অঙ্গীকারবদ্ধ। আমি কথাটি জোর দিয়ে বলতে পারছি কারণ, গত সপ্তাহে আমাদের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রায় খেলতে নেমে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি এক সপ্তাহের মধ্যে ৫ কেজি ওজন হারিয়েছি। অন্যদের মধ্যে ডম সিবলি ৪ কেজি এবং জিমি অ্যান্ডাসনের ৩ কেজি ওজন কমে গেছে। জ্যাক লিচ নিজের বোলিং স্পেলের ফাঁকে ফাঁকে মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছিল এবং টয়লেটে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি সময় কাটাতে হয়েছে।’
তবে এটিকে সিরিজ হারের পেছনে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাতে রাজি নন স্টোকস, ‘আমি এটাকে অজুহাত হিসেবে বলছি না। কারণ সবাই ভারতে খেলতে প্রস্তুত ছিল। রিশাভ পান্ত অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রাও দলকে জেতানোর জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছে।’