Published : Tuesday, 9 March, 2021 at 12:00 AM, Update: 09.03.2021 1:09:10 AM
মাসুদ আলম।।
কুমিল্লার
আদালতে বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে এক আসামিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা
মামলায় মো. হাসান (২৩) নামে এক যুবককে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। গতকাল
সোমবার কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আতাব উল্লাহ এই রায়
দেন।
রায় ঘোষণার পর ফাঁসির দ-প্রাপ্ত হাসানের মা ও স্বজনদের আহাজারিতে
স্তব্ধ হয়ে পড়ে আদালত প্রাঙ্গণ। মা নয়ন বেগমের দাবি, তার ছেলে মাদকাসক্ত
ছিল। ওইদিন আদালতে তার পূর্বশত্রু ফারুক নামের ওই আসামিকে দেখে তার মাথা
ঠিক ছিল রাখতে পারেনি। তার ছেলে ন্যায্য বিচায় পায়নি।
ফাঁসির আসামী মো. হাসান কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ভোজপাড়া গ্রামের সহিদ উল্লাহর ছেলে।
ফাঁসির
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি
অ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম ও এপিপি অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম।
আদালত
সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই কোর্ট চলাকালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের
কান্দি গ্রামের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার আসামী হাসান চুরি হাতে ওই
মামলার আরেক আসামী ফারুকের পিছনে ধাওয়া করে। ফারুক আত্মরক্ষার জন্য
বিচারকের খাস কামরায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। হাসান বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে
ফারুককে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত জখম করে। পরে তাকে উদ্ধার করে
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক
তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার আইনজীবী এপিপি নুরুল ইসলাম জানান, ২০১৩
সালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের কান্দি গ্রামে খুন হন হাজী আবদুল করিম। ওই
মামলার জামিনে থাকা আসামিদের হাজিরা ছিল যেদিন, সেইদিন বেলা ১১টার দিকে
মামলার আসামিরা কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে ঢোকার সময় ৪
নম্বর আসামি ফারুককে ছুরি নিয়ে তাড়া করে আক্রমণ কওে ৮ নম্বর আসামি হাসান। এ
সময় আদালতে অন্য একটি মামলার হাজিরা দিতে আসা কুমিল্লার বাঙ্গরা থানা
পুলিশের সাবেক এএসআই ফিরোজ এগিয়ে গিয়ে হাসানকে আটক করে। এ ঘটনায় উপস্থিত
বিচারক, আইনজীবী ও অন্যরা আতংকগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সেইসময় কুমিল্লার অতিরিক্ত
জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক ছিলেন বেগম ফাতেমা ফেরদৌস।