ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
এক মাস পর খুলছে নৌজট, গন্তব্যে ফেরার অপেক্ষায় হাজারো নৌযান
Published : Wednesday, 10 March, 2021 at 12:00 AM
নদীর পানি কমে যাওয়ায় সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার পাটলাই নদীর পাঁচ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়লা-চুনাপাথর বোঝাই কয়েক হাজার নৌযান আটকা পড়ে। দীর্ঘদিন আটকে থাকায় শ্রমিকদের নান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। একইভাবে কোটি টাকা ক্ষতি গুনতে হয় ব্যবসায়ীদের।
ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তের তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে এলসি করা কয়লা, চুনাপাথর বোঝাই ভলগেট নৌকা পাটলাই নদী হয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ভৈরব, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পণ্য নিয়ে যায়। বছরের অন্য সময় এ পথে নৌচলাচল স্বাভাবিক থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে পাটলাই নদীর কিছু অংশের পানি কমে নাব্য সঙ্কট দেখা দেয়। ফলে উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমানপুর বাজারসংলগ্ন এলাকায় পাঁচ কিলোমিটার দীর্ঘ নৌজটের সৃষ্টি হয়।
এ কারণে কয়লা-চুনাপাথর বোঝাই কয়েক হাজার নৌকা এক মাস ধরে নদীতে বলগেট, বাল্কহেড ইঞ্জিনচালিত নৌজটে আটকে থাকায় কয়লা-চুনাপাথরসহ কয়েকশ কোটি টাকার পণ্য আটকে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকায় সময় মতো পণ্য পৌঁছে দিতে না পারায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক দিন নদীর পানি বাড়তে থাকায় দীর্ঘ নৌজট থেকে মুক্তি মিলেছে।
নৌ শ্রমিক আজাদ মিয়া বলেন, ‘এক মাস আটকে থাকার পর নদীতে পানি বাড়ায় নৌজট থেকে মুক্তি মিলেছে। অনেক কষ্ট করেছি এই এক মাস। খাওয়ার জন্য ভালো পানি পাইনি। নদীর পানিকে ফুটিয়ে খেতে হয়েছে।’
লিটন মিয়া নামে আরেক নৌশ্রমিক বলেন, ‘একই জায়গায় দিনের পর দিন খেয়ে না খেয়ে থেকেছি। প্রতি বছর আমাদের এ সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাই সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই প্রতি বছর যাতে আমাদের এ সমস্যায় পড়তে না হয়।’
নৌশ্রমিক কাজল মিয়া বলেন, ‘নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেলাম, প্রতি বছর আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই পাটলাই নদী খননের জন্য কিন্তু এই নদীটা খনন করা হয় না। যে কারণে আমাদের শ্রমিকদের পড়তে হয় নানা সমস্যায়।’
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, ‘প্রতি বছর পাটলাই নদীতে নৌজট সৃষ্টি হয়। যে কারণে এক মাসের মতো শ্রমিকদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। এ সমস্যা যাতে প্রতি বছর সৃষ্টি না হয় সে জন্য কাজ করছি। এখন আর নৌজট নেই কারণ নদীর পানি বেড়েছে।’
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পদ্মাসন সিংহ বলেন, ‘পাটলাই নদীর পানি কমে যাওয়ার কারণে প্রতি বছর নৌজট সৃষ্টি হয়। এ স্থানে খননকাজ চলছে। খনন হলে এ সমস্যার সমাধান হবে।’