আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে, মেয়েদের প্রকাশ্যে গান গাওয়া নিষিদ্ধ করে সম্প্রতি যে ঘোষণা তারা দিয়েছিল, সেটি তারা পুনর্মূল্যায়ন করবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কয়েকদিন আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত এক আদেশে বলা হয়, ১২ বছরের বেশি বয়সের কোনও স্কুলছাত্রী আর প্রকাশ্যে গান গাইতে পারবেন না। বিশেষ করে পুরুষদের সামনে কোনভাবেই গান গাওয়া যাবে না। এমনকি পুরুষ শিক্ষকরা স্কুলে বা অন্য কোথাও মেয়েদের গান শেখাতে পারবেন না। কেবল শতভাগ নারী সমাবেশেই গান গাওয়ার অনুমতি পাবে আফগান মেয়েরা। মন্ত্রণালয়ের এই আদেশের পরপরই তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে মেয়ে ‘আই অ্যাম মাই সং’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে গানের ভিডিও পোস্ট করা শুরু করে।
অবশেষে নতুন বিবৃতিতে রবিবার মন্ত্রণালয় জানায়, এই ঘোষণা তাদের নিজেদের অবস্থানকে প্রতিফলিত করছে না। ঘোষণাটি মূল্যায়ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।
গান নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের জন্য অনেকে সরাসরি আফগান শিক্ষামন্ত্রী রঙ্গিনা হামিদিকে আক্রমণ করছেন। তাদের প্রশ্ন, যে হামিদি নিজেও নারী আন্দোলনের অংশীদার ছিলেন, তিনি কীভাবে এমন নির্দেশনা জারি করলেন?
অনেক নারী এই নিষেধাজ্ঞাকে তালেবান শাসনের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তালেবান শাসনামলে আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ও অধিকাংশ গান নিষিদ্ধ ছিল। প্রখ্যাত আফগান লেখিকা শাফিকা খাপালওয়াক তার প্রতিক্রিয়ায় টুইটারে লেখেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাদের ক্ষমা করুন। মানুষ জাতি এত নিষ্ঠুর যে তারা এমনকি একটি শিশুকেও লিঙ্গভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখে।’