লকডাউনের সিদ্ধান্ত সরকারের ওপর: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
Published : Friday, 19 March, 2021 at 12:00 AM
করোনাভাইরাস
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আবার লকডাউন দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত
নেবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার রাজধানীর
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন,
“লকডাউনের চিন্তা আমরা না, এটা সরকার করে। সরকারের সকল সংস্থা মিলেই বসে
সিদ্ধান্ত হয়। সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
“আমরা সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি, এখন সরকার ভেবেচিন্তে পদপে নিবে।”
কিছুদিন
ধরেই দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় সংক্রমণ
নিয়ন্ত্রণের উপায় খুঁজতে মঙ্গলবার জরুরি আলোচনায় বসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনাভাইরাসের
সংক্রমণ ঠেকাতে পুরোপুরি লকডাউন দেওয়া, সম্ভব না হলে ‘ইকোনমিক ব্যালেন্স’
রেখে জনসমাগম বন্ধ অথবা সীমিত করা, শিা প্রতিষ্ঠান, পাবলিক পরীা বন্ধ রাখার
মতো বিষয়ে ওই সভায় আলোচনা হয়। সব মিলিয়ে ১২টি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এ বি এম খুরশীদ আলম বুধবার রাতে বলেন,
বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করা গেলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। আলোচনার
বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের কাছে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি চান দেশের অর্থনীতি সচল থাকুক। একইসঙ্গে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণও যেন না বাড়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের
প্রয়োজন হবে না।
“কোনো মানুষ যেন মৃত্যুবরণ না করে আমরা সেটাও চাই।
এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে আমাদের। বিভিন্ন জেলায় নির্দেশনা
দিয়েছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। যেন মোবাইল
কোর্ট চালু করে, যারা স্বাস্থ্যবিধি মানবে না তাদের যেন ফাইন করে। এই
বিষয়গুলো নিয়ে আমরা প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি।
“হাসপাতালগুলো আমরা
প্রস্তুত করছি। যদি আমরা সবাই নিয়ম মেনে চলি তাহলে আশা করছি লকডাউনের
প্রয়োজন হবে না। সব কাজই আমরা সুন্দরভাবে করতে পারব।”
নারী দিবস উপলে
কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ১২ জন নারী স্বাস্থ্যকর্মীকে
সম্মাননা দেয় অ্যাসোসিয়েশন ফর গ্রাসরুটস উইমেন এন্টারপ্রেনারস, বাংলাদেশ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সামনের সারিতে থেকে কাজ করার জন্য এই সম্মাননা পান নয়জন নার্স এবং একজন মিডওয়াইফ।
অনুষ্ঠানে
উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর,
সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের
মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তার, ইইউ ফান্ডেড প্রিজম প্রোজেক্টের টিম লিডার আলী
সাবেত এবং এজিডব্লিউবির সভাপতি মৌসুমী ইসলাম।