মোহাম্মদপুরের বছিলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক গাজী মিজানুর রহমান (৫২) আহত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে সরকারি পিস্তল ও মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বছিলার আমিন-মোমিন হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় তাকে বিকাল ৪টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিদর্শক মিজানুর নারায়ণগঞ্জ জেলার সিআইডিতে কর্মরত। তিনি মোহাম্মদপুরের বছিলা গার্ডেন সিটিতে থাকেন।
পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, আমি এখন ছুটিতে আছি। আমিন-মমিন হাউজিংয়ে আমার প্রতিবন্ধী সন্তানের নামে একটি প্লট আছে। এখানে সীমানা নিয়ে জটিলতা আছে। আমি বিষয়টি মোহাম্মদপুর থানার ওসিকে জানিয়েছিলাম।
রোববার দুপুর দেড়টায় আমার প্লটের কাছে গেলে হঠাৎ সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে আমিন-মোমিন হাউজিংয়ের শাহ আলম ও জামিলসহ ৭-৮ জন সন্ত্রাসী এসে আমাকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আমার সঙ্গে থাকা সরকারি অস্ত্র (পিস্তল) ও মোটরসাইকেল তারা নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় কেয়ারটেকার গোলাম মোস্তফাও (৪২) আহত হয়েছেন।
গোলাম মোস্তফা বলেন, আমিন-মোমিন হাউজিংয়ে পরিদর্শক মিজানুর রহমানের ৪ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। সেখানে একটি রুমও রয়েছে। আরেকটি রুম করার জন্য কাজ চলছিল। আমি তা দেখাশোনা করি। পরিদর্শক মিজানুর দুপুরের এসে প্লটে ঢুকলে সন্ত্রাসীরা এসে তার ওপর হামলা করে। আমি তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে।
আহত মিজানুরের ভাগিনা আরিফুর রহমান বলেন, জমির সীমানা নিয়ে ঝামেলা চলছিল। তবে হাউজিং থেকে মামাকে কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। পরে মামা সেখানে গেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে মাথা এবং ডান পায়ে মারাত্মক জখম করা হয়। তার মাথায় ২৬টি সেলাই লেগেছে। ডান পায়ের হাঁটুর নিচে ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর এলাকার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মৃত্যুঞ্জয় দে সজল বলেন, আমরা ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত চলছে। তবে তার সরকারি অস্ত্র নিয়ে গেছে কি-না সে বিষয়ে আমরা এখনো নিশ্চিত নই।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিআইডির সিনিয়র এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক জিসান বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।