ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
আসছে ইউপি নির্বাচন সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিন
Published : Monday, 22 March, 2021 at 12:00 AM
আসছে ইউপি নির্বাচন সহিংসতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিনউত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আগামী ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে দেশের ১৮ জেলার ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ করা হবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৬ জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭৩ জন আহত হয়েছে। বরগুনার বেতাগীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হয় ১০ জন। এর বাইরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন অনেকে।
কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বরিশালের গৌরনদীর সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে পাঁচটিতেই মতাসীন দলের প্রার্থীদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। বাগেরহাটের শরণখোলার চারটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী একজন। ১১ এপ্রিল দেশের ১১ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপনির্বাচন হবে। পৌরসভাগুলোর মধ্যে কুমিল্লার একটি পৌরসভায় অন্য কোনো প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা না হওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারও মেয়র হতে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী। চট্টগ্রামের একটি পৌরসভায় তিন প্রার্থীর দুজনের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় সেখানেও প্রার্থী একজন।  
নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রতিটিতেই সহিংসতার নজির রয়েছে। কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়ম-সহিংসতা রোধে নির্বাচন কমিশনকে খুব একটা সক্রিয় দেখা যায়নি। কমিশনের এমন অবস্থান অব্যাহত থাকলে আসন্ন ইউপি নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সহিংসতা রোধে ব্যাপক পদপে নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সুনির্দিষ্টভাবে নির্বাচনের আগেই তালিকা করে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা না করলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে নতুন করে সহিংসতা দেখা দিতে পারে। কোথাও এমন কিছু ঘটলে নির্বাচন কমিশনের অবহেলাকেই দায়ী করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার কারণেই সংঘাত বাড়ে। রাজনৈতিক দাপটে আচরণবিধি আর ধোপে টেকে না। অথচ দেশের মানুষ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীন, নিরপে ও শক্তিশালী ভূমিকা প্রত্যাশা করে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন জনগণের আস্থার সেই জায়গাটি কতটা ধরে রাখতে পেরেছে, এটা একটা বড় প্রশ্ন। দলনিরপেভাবে নির্বাচন কমিশনের শক্ত ভূমিকা থাকা প্রয়োজন। দেশের মানুষ যেকোনো পর্যায়ের নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে নির্বাচন কমিশনের ওপরই আস্থাশীল থাকতে চায়। বর্তমান নির্বাচন কমিশন কি জনগণের আস্থার সেই জায়গাটি ধরে রাখতে এখন থেকেই সহিংসতা প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।