ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দরজা খোলা প্রাইভেট পরিবহনের দাপট
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে লক ডাউনের প্রথম দিন
রণবীর ঘোষ কিংকর।
Published : Monday, 5 April, 2021 at 6:22 PM
দরজা খোলা প্রাইভেট পরিবহনের দাপটলক ডাউনের প্রথম দিন দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দেখা যায়নি গণপরিবহন। তবে মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে দাপটে বেড়াচ্ছে দরজা খোলা প্রাইভেট পরিবহন।

ওইসব পরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী তুলে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করতে দেখা যাচ্ছে। অবস্থা দৃষ্টে দেখা যাচ্ছে যেন লকডাউনের প্রভাব পড়েনি ওইসব পরিবহনে।

মহাসড়ক থেকে থ্রি-হুইলার নিষিদ্ধ করার পর পুরাতন ও ফিটনেসবিহীন মাইক্রোবাস এবং ভারতীয় মারুতি গাড়ি গুলোকে যাত্রী পরিবহন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। ওইসব গাড়িগুলো যেখানে সেখানে থামিয়ে যাত্রী উঠানো-নামানোর ফলে দরজা খোলাই থাকে।

প্রাইভেট পরিবহন গুলোকে গণপরিবহন হিসেবে মহাসড়কে চলাচল করতে প্রশাসন অলিখিত চুক্তি করা হয়েছে। প্রশাসনের নামে সিন্ডিকেট মহল মাসিক টোকেন দিচ্ছে গাড়ি চালকদেরকে। আর প্রতিদিন জিবি’র নামে চাঁদা আদায় করে অবৈধ ভাবে চলছে ওইসব যান।

করোনা ভাইরাসের সংক্রামন রোধে সরকার সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে সারা দেশে ‘লক ডাউন’ ঘোষনা করার পাশাপাশি সকল গণপরিবহন বন্ধ করলেও মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে বন্ধ হয়নি ওইসব অবৈধ যানবাহন। দরজা খোলা প্রাইভেট পরিবহনের দাপট

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ইলিয়টগঞ্জ, চান্দিনা, নিমসার, ময়নামতি সেনা নিবাস এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, একটি মারুতি গাড়িতে ৮-১০জন, মাইক্রোবাস গুলোতে ১২-১৪জন নিয়ে যাত্রী নিয়ে ছুটে চলছে। মহাসড়কের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুন ভাড়া আদায় করতে দেখা গেছে।

নিমসার বাজার থেকে চান্দিনা বাস স্টেশনে আসা যাত্রী আব্দুল হক জানান- অন্য সময় নিমসার থেকে ১০ টাকায় চান্দিনা আসি। আজ ২০ টাকা দিয়ে আসতে হয়েছে।

অপর যাত্রী রফিকুল ইসলাম জানান- আমি কুমিল্লা যাব, বাসে চান্দিনা থেকে কুমিল্লা ৩০ টাকা ভাড়া। আর আমি চান্দিনা থেকে শুধুমাত্র ক্যান্টনমেন্ট ৫০ টাকা ভাড়া ঠিক করে গাড়িতে উঠেছি। ক্যান্টনমেন্ট থেকে কুমিল্লা যেতে কত নেয় সেটা জানিনা।

এ ব্যাপারে কথা বলতে একাধিক গাড়ি চালকদের সাথে চেষ্টা করলেও তারা কেউ কথা বলতে চায়নি।

হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা শাহিন জানান- বিষয়টি আমারও নজরে এসেছে। প্রথম দিন হিসেবে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়েছে। তারপরও বন্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে। দ্বিতীয় দিন থেকে কঠোর ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।