দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে ভাইরাসটি রোধে কমিউনিটিকে যুক্ত করে ঘরে ঘরে সচেতনতার বার্তা পৌঁছাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে ব্র্যাক।
ইতোমধ্যে ১২ লাখেরও বেশি পরিবারে হাত ধোয়ার চর্চা, কাশি দেওয়ার শিষ্টাচার, মাস্কের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ করোনাভাইরাস রোধে স্বাস্থ্যবিধির বার্তাগুলো পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বর্তমানে ৬টি জেলায় কমিউনিটির অংশগ্রহণকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির অধীনে গঠিত সামাজিক সহায়তা দল। যুক্তরাজ্য সরকারের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) এর অর্থায়নে ‘কমিউনিটি মোবিলাইজেশন এবং কমিউনিটি ক্লিনিক শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে কোভিড-১৯ রেসপন্স’ নামক এই প্রকল্প বর্তমানে কাজ করছে বাগেরহাট, ভোলা, শেরপুর, নারায়ণগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ এবং বগুড়ার ৫১টি উপজেলায়।
ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির সহযোগী পরিচালক মোর্শেদা চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘সংক্রমণ রোধ, ঘরে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং করোনাভাইরাস পরীক্ষা কার্যক্রমের সুবিধার্থে হটস্পটগুলোতে ব্র্যাক অন্য অংশীজনদের নিয়ে কমিউনিটিতে সহিষ্ণুতা তৈরিতে কাজ করবে।’
এই প্রকল্পের মাধ্যমে ৫১টি উপজেলায় এখন পর্যন্ত ২৭ হাজার লক্ষণযুক্ত ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এদের প্রত্যেককেই টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করা হয়েছে এবং তাদের বাসায় বিভিন্ন সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ১২ লাখ পরিবারে হাত ধোয়ার চর্চা, কাশি দেওয়ার শিষ্টাচার, মাস্কের ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ করোনাভাইরাস রোধে স্বাস্থ্যবিধির বার্তাগুলো পৌঁছে দিয়েছেন ব্র্যাকের সামাজিক সহায়তা দল। এছাড়া প্রায় ১২ লাখ মাস্ক বিতরণের পাশাপাশি ৫০ হাজার হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন তৈরি করে দেয়া হয়েছে।