ফিফা কোনো ধরনের ফান্ড স্থগিত করেনি:মুর্শেদী
Published : Wednesday, 7 April, 2021 at 12:00 AM
বাংলাদেশ
ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ফিফা অনুদান প্রদান স্থগিত
করেছে- গত ২৪ ঘণ্টায় এটা ছিল ফুটবল অঙ্গনের আলোচিত বিষয়।
কিন্তু
মঙ্গলবার বিকেলে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান
আবদুস সালাম মুর্শেদী এমপি সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, ‘ফিফা থেকে কোনো
ধরনের ফান্ড স্থগিত করা হয়নি।’
এর আগে দুপুরে আবদুস সালাম মুর্শেদী ও
বাফুফের অন্যান্য কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল সভা করেছেন ফিফার কর্মকর্তাদের
সঙ্গে। ওই সভাটি খুবই সুন্দর হয়েছে উল্লেখ করে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি
বলেছেন, ‘এই সভায় ফিফা কর্মকর্তারা বাফুফের কার্যক্রমে সন্তুষ্টি প্রকাশ
করেছেন।’
তাহলে ফান্ড স্থগিত করে দেয়ার যে কথাগুলো বাতাসে ভাসছে? আবদুস
সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘অর্থ ছাড় হচ্ছে না বলে যে কথাগুলো শুনেছেন সে তথ্য
সঠিক নয়।’
রাজধানীর পান্থপথে আবদুস সালাম মুর্শেদীর ব্যবসায়িক
কার্যালয়ে তাৎণিক ডাকা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সাধারণ
সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ। সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন, ‘১৫ দিন আগেও ফিফা
থেকে আমরা একটা বরাদ্দ পেয়েছি।’ আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘ওই বরাদ্দের
কাগজপত্রে আমি ৪ এপ্রিল স্বারও করেছি।’
তাহলে ফিফার সঙ্গে কি নিয়ে
ভার্চুয়াল সভা হলো বাফুফের? ‘আজকে যে সভা হলো এমন সভা বিভিন্ন সময়ে হয়ে
থাকে আমাদের। আসলে বাফুফের আর্থিক সংক্রান্ত কার্যক্রমে আরো স্বচ্ছ্বতা,
নিরপেতা ও জবাদিহিতা নিশ্চিত করণের ল্েয ফিফা থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পার্সেস, মেমেন্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে নীতি প্রণয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যাতে
ভবিষ্যতে ফিফার ফরোয়ার্ড প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারে’-
বলেছেন বাফুফে সাধারণ সম্পাদক।
সভায় ফিফা কর্মকর্তারা বাফুফের ফিন্যান্স
সংক্রান্ত কর্মকান্ডের যে প্রশংসা করেছে, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে
উল্লেখ করা হয়। আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘আসলে আমাদের যে সিস্টেম ফলো
করা উচিত কখনো কখনো সেটা হয় না, পারি না। কারণ, কিছু কাজ তাৎণিকভাবে করতে
হয়। আমরা এখন সব পেমেন্ট চেকে করে থাকি। কখনো কখনো এটার ব্যত্যয় ঘটে। তবে
পরিমান কম। আমরা এক খাতের অর্থ অন্য খাতেও ব্যয় করি না।’
তাহলে ফান্ড
বন্দের প্রশ্ন উঠেছে তা আসলে কি? ‘কোভিডের কারণে ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামগুলো
হয়নি। ফিফাও জানিয়েছে, বাংলাদেশের মতো অনেক অ্যাসোসিয়েশন কোভিডের সময় কাজ
করতে পারেনি। তাই বলে ফরোয়ার্ড প্রজেক্টগুলো ল্যাপস হয়ে যায়নি। কাজ শুরু আর
শেষ না করলে তো ফান্ড ছাড় হবে না। করোনার কারণে আমরা সেটা নিতে পারিনি।
অন্য কোনো ফান্ড স্থগিত হয়নি’- বলেছেন সালাম মুর্শেদী।