ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
মার্চে পণ্য রপ্তানিতে আয় বেড়েছে সাড়ে ১২%
Published : Wednesday, 7 April, 2021 at 12:00 AM
করোনাভাইরাস মহামারীর নতুন বিস্তারের মধ্যে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পণ্য রপ্তানি আয়ে বাংলাদেশ আগের একই সময়ের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে রয়েছে। তবে শুধু মার্চ মাসে রপ্তানি আয়ে বেশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করে দুই হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১২ শতাংশ কম।
তবে শুধু মার্চ মাসে বাংলাদেশ থেকে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। এর আগে বছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়।
দেশের পণ্য রপ্তানি আয়ের এই চিত্র মঙ্গলবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে।
২০২০ সালের শুরুতে চীন থেকে সারা বিশ্বে কভিড-১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর মার্চে তা বাংলাদেশের রপ্তানিখাতকেও আক্রান্ত করে। তখন একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছিল; নতুন ক্রয়াদেশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল।
এমনকি রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি পণ্যগুলোও জাহাজিকরণ স্থগিত করেছিল বিদেশি ক্রেতারা। এক বছর পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে মহামারীর বিস্তার ও মৃত্যুহার।
মার্চে পণ্য রপ্তানির চিত্র ঘুরে দাঁড়ালেও তা দেশের মাসিক লক্ষ্য থেকে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ পিছিয়ে আছে। এই মাসে ৩৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির পরিকল্পনা ছিল।
আবার নয় মাসে পণ্য রপ্তানি আয় আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এসময়ে রপ্তানির লক্ষ্য ছিল তিন হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য।
চলতি অর্থবছরে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার।
রপ্তানি তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নীটপণ্য রপ্তানির ধারাবাহিক উন্নতি রপ্তানিখাতের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। তবে প্রধান রপ্তানি পণ্য উভেনপণ্য আগের মতোই নেতিবাচক ধারায় রয়েছে।
নয় মাসে একহাজার ২৬৫ কোটি ডলারের নিটপণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল একহাজর ১৯৫ কোটি ডলার। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
ঠিক ফেব্রুয়ারি মাসেও নিট পণ্যে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। একই সময়ে উভেন পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১০৮৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ কম।
পোশাক শিল্পের বাইরে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বেশ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।
টাকার অংকে এসব পণ্য রপ্তানির আকার কম হলেও প্রবৃদ্ধিতে বেশ এগিয়ে আছে পাটপণ্য ও হোম টেক্সটাইল।
মার্চ মাস শেষে ৯৫ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বার্ষিক হিসাবে ২২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে এই খাতে।
একইভাবে হোম টেক্সটাইল পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৮৪ কোটি ডলারের যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রপ্তানি হয়েছিল মাত্র ৫৯ কেটি ডলারের হোম টেক্সটাইল।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানিপণ্য। তবে এই সময়ের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য খুব একটা প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি।
এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৬৭ কোটি ডলারের চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির টার্গেট নিয়ে ৬৮ কোটি কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির সাফল্য পাওয়া গেছে। তবে এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।