উন্নয়নশীল আটটি দেশের সংস্থা ডি-৮ এর সভাপতির দায়িত্ব নিচ্ছে বাংলাদেশ। বুধবার ডি-৮ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১৯-তম সভায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের কাছে সভাপতির পদ হস্তান্তর করেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসৌলু। আজ বৃহস্পতিবার দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা ডি-৮ এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ ১৯৯৯-২০০১ মেয়াদে সফলভাবে ডি-৮ এর সভাপতিত্বের দায়িত্ব সম্পন্ন করে এবং দুই দশক পর দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মতো ডি-৮ এর সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যুব সমাজকে সহায়তা করার জন্য ডি-৮ ভুক্ত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘যেহেতু ডিজিটাল যুগে টেকনোলজি এবং উদ্ভাবনী দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী প্রয়োজন, সেহেতু এ সম্ভাবনাময় তরুণ সমাজকে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে তাদের সহায়তার লক্ষ্যে ডি-৮ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে।’
ড. মোমেন জানান, ডি-৮ দেশসমূহের মধ্যে সম্মিলিত জনসংখ্যার ১৯ শতাংশই তরুণ। তিনি আরও উল্লেখ করেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে যুব সমাজের অফুরন্ত সম্ভাবনা আবিষ্কারের গুরুত্ব অনুধাবন করে বাংলাদেশ দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘বৈশ্বিক রূপান্তরের জন্য অংশাদারিত্ব: যুব সম্প্রদায় ও প্রযুক্তির মুক্তি’ নির্ধারণ করেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা ভাইরাস মহামারি প্রতিরোধে এবং এর অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহের কথা তুলে ধরেন। কোভিডের কারণে সৃষ্ট এ অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তিনি ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রের নাগরিকদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের জন্য এবং সবার জন্য প্রযোজ্য একটি সহনশীল সহযোগিতার মডেল প্রস্তুত করা যেতে পারে মর্মে উল্লেখ করেন।
এছাড়াও, বিশ্ব অর্থনীতির ওপর কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব দূরীকরণের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডি-৮ দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ পণ্যের পাশাপাশি সেবা ক্ষেত্রেও মুক্ত এবং ন্যায়সঙ্গত প্রবেশের অধিকারে বিশ্বাস করে।