মার্কিন ন্যাশনাল আর্কাইভস অ্যান্ড রেকর্ডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএআরএ) একটি অফিশিয়াল জাতীয় অনলাইন আর্কাইভ তৈরি করছে। সেই সূত্রেই জানা গেল, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কোনো টুইট আর টুইটারে দেখা যাবে না। টুইটার জানিয়ে দিয়েছে, ভবিষ্যত প্রজেন্মের জন্য জাতীয় অনলাইন আর্কাউভে ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইটগুলো থাকলেও টুইটার প্ল্যাটফর্মে টুইটগুলো থাকবে না। সাধারণত অন্যদের বেলায় টুইটারের সিদ্ধান্ত ভিন্ন হয় বলে উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।
টুইটার বলছে, ডনাল্ড ট্রাম্পের বেলায় ভিন্ন সিদ্ধান্তের কারণ হচ্ছে, ওই অ্যাকাউন্টটি চিরস্থায়ীভাবেই নিষিদ্ধ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্মটির এক মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, “@রিয়ালডনাল্ডট্রাম্প অ্যাকাউন্টটির কনটেন্ট সংরক্ষণের জন্য এনএআরএ'র সঙ্গে আমাদের লোকজন কাজ করছে, যেমনটা আমরা অন্যান্য অ্যাকাউন্টের বেলায় করে থাকি।”
“আর্কাউভ করা অ্যাকাউন্টগুলো সাধারণত আমাদের প্ল্যাফর্মেও দেখা যায়। কিন্তু ওই অ্যাকাউন্টটি যেহেতু আমরা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছি, ফলে ওই অ্যাকাউন্ট এবং এর কনটেন্ট টুইটার প্ল্যাটফর্মে আর পাওয়া যাবে না।” - যোগ করেছে টুইটার।
“এনএআরএ কীভাবে ওই অ্যাকাউন্টের কনটেন্ট সংরক্ষণ করবে সেটি তাদের বিষয়।”
“প্রশাসনিক ব্যক্তিদের যে অ্যাকাউন্টগুলো আমাদের প্ল্যাটফর্মের নিয়ম ভাঙবে না সেগুলোই কেবল আমাদের প্ল্যাটফর্মে আর্কাইভ করা সম্ভব।” - তিনি বলেন।
জ্যেষ্ঠ্য রাজনীতিবিদরা যখন সরকারি দায়িত্ব থেকে সরে যান তখন দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তাদের করা টুইটগুলো সাধারণত আর্কাইভ আকারে সংরক্ষণ করে মাইক্রোব্লগিং সাইটটি।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গণমাধ্যম মন্ত্রী কেইলিয়া ম্যকেনাহ যখন সরকারি পদ ছেড়ে দেন, তখন তিনি তার পুরোনো ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে ফিরে যান। আর তার সরকারী পদের বিপরীতে তৈরি করা অ্যাকাউন্টটি আর্কাইভ করে ফেলা হয়। সেখানে একটি ঘোষণা টানিয়ে রাখা আছে - "এটি ট্রাম্প প্রশাসনের একটি অ্যাকাউন্ট। এর সংরক্ষণ করছে জাতীয় জাতীয় অনলাইন আর্কাউভ।"
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার টুইটগুলি টুইটার প্ল্যাটফর্মে যেমন আর্কাইভ আকারে আছে তেমনি ভিন্ন একটি সাইটেও রাখা আছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের বেলায় কী হবে? বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়।