ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
৯ মাসে বাড়তি রাজস্ব আয় ৬৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা
Published : Sunday, 11 April, 2021 at 12:27 PM
করোনা মহামারির মধ্যেও দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর রাজস্ব আহরণে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। এ বন্দর চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ পর্যন্ত) নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণ করেছে। এ সময়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারীত ছিল ২১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা; যার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩০ ভাগ।

শুধু মার্চ মাসেই বন্দর ৩৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বাড়তি রাজস্ব আহরণ করেছে। অর্থবছরের বাকি ৩ মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছাপিয়ে বাড়তি রাজস্ব আহরণের আশা হিলি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের।

হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে দিনাজপুরের হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় ৩১৪ কোটি ১৩ লাখ টাকা। সেই মোতাবেক অর্থবছরের শুরু জুলাই মাসে বন্দর থেকে ৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগস্টে ১৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। সেপ্টেম্বরে ৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অক্টোবরে ১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ১৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। নভেম্বরে ৩১ কোটি ৬৩ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ডিসেম্বরে ৫২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২২ কোটি ২১ লাখ টাকা। জানুয়ারিতে ২৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ২০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। ফেব্রুয়ারিতে ৩০ কোটি ৫৪ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয় ৪৭ কোটি ১৯ লাখ টাকা এবং মার্চ মাসে ২৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৬১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা।

২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারীত ছিল ২১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আহরণ হয়েছে ২৮১ কোটি ৬২ লাখ টাকা। একই সময়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ হয়েছিল ১৫৩ কোটি ২০ লাখ টাকা।

হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও রূপপুর পারমানবিক কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের চলমান মেগা মেগাপ্রকল্পগুলোতে পাথর সরবরাহ করছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা। এ কারণে প্রচুর পরিমাণে পাথর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে, একইভাবে দেশের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দীর্ঘদিন পরে চাল আমদানি হচ্ছে। একইসঙ্গে জিরা, আদা, বাদাম, গম, ভুট্টা, খৈলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের ধারা অব্যাহত রয়েছে। তবে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা রয়েছে, যেমন: ফল আমদানির ক্ষেত্রে গাড়ির চাকা অনুযায়ী শুল্কায়নের প্রথা ও কমার্শিয়াল পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে অন্য বন্দরে কম মূল্যে শুল্কায়ণ করা হলেও একই পণ্য হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানির ক্ষেত্রে বাড়তি মূল্যে শুল্কায়নের পদ্ধতি চালু রয়েছে। এসব কিছু পরিহার করে সব বন্দরকে একই নিয়ম-নীতির আওতায় পরিচালনা করা হলে রাজস্ব আহরণ আরও বাড়বে।