Published : Wednesday, 14 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 13.04.2021 11:57:08 PM
হাফেজ মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান ।।
কিন্তু
ইহা তখনই হইবে যখন এই পুরস্কারের কদর করা হইবে নতুবা অমাদের মত
দূর্ভাগাদের জন্যে কেবল “রমজান রমজান” বলিয়া একমাস যাবৎ চিৎকার ছাড়া আর
কিছুই হইবেনা। বস্তুত রোজা রাখার নিয়ম সর্বযোগেই প্রচলিত ছিল হযরত আদম (আ:)
থেকে শুরু করে আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (স:) পর্যন্ত সকল নবী রাসূলগণ
সিয়াম পালন করেছেন। নবীগণের মধ্যে হযরত দাউদ (আ:) এর রোজা বিশেষভাবে
উল্লেখযোগ্য, হযরত ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণিত রাসূল (স:) মদীনায় আগমন
করে দেখলেন যে, ইয়াহুদীরা আশুরার দিন সাওম পালন করছে তাদের কাছ থেকে তিনি
জান্তে পারলেন যে হযরত মুছা (আ:) এই বিশেষ দিনে রোজা রেখেছেন।
মাওলানা
সৈয়দ সুলাইমান নদভী (র:) তাঁর সুবিখ্যাত সীরাত গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন
প্রাচীন মিসরীয়, গ্রীক ও পারসিকদের ধর্মে ও সাওমের বিধান পাওয়া যায়।
সারকথা ইসলাম পূর্ব ধর্মসমূহে রোজার প্রচনল ছিল কিন্তু ধর্মের প্রতি
উদাসিনতা ও অবাধ স্বাধীনতা রোজার ভাবমূর্তিও প্রাণশক্তি সম্পূর্ণরূপে খতম
করে দিয়েছে।
চারিত্রিক মহত্ত্ব, নৈতিক পরিচ্ছন্নতা, চিন্তার
বিশুদ্ধতা, আত্মিক পবিত্রতা এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের অন্যতম মাধ্যম এ রোজা
কালক্রমে অন্ত:সারশূন্য নিছক এক অনুষ্ঠানে পর্যবসিত হয়ে পড়েছিল। এহেন
অবস্থা হতে রোজাকে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের দিকে ফিরিয়ে আনা এবং একে
আত্মিক, নৈতিক ও চারিত্রিক কল্যাণের ধারক বানানোর নিমিত্তে মহান
আল্লাহতালা, রোজাকে এ উম্মাতের উপর ফরয করেন। আল্লাহতালার এরশাদ হে
ঈমানদারগণ, তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হল যেমন বিধান তোমাদের পূর্ব
বর্তিদেরকে দেওয়া হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়াবান হতে পার, আল কোরআন সূরা
বাকারা সুতরাং রহমত, বরকত, মাগফিরাত ও আত্মশুদ্ধির এই মোবারক মাসটি যেন
দুনিয়া উপার্জন ও লোকদেখান আনুষ্ঠানিকতায় শেষ না হয় সে দিকে লক্ষ রাখব।
আল্লাহতালা আমাদের সকল কে কবুল করেন।
হাফেজ মাওলানা মোঃ মিজানুর রহমান
সভাপতি, জেলা ইমাম সমিতি ও খতিব, মুন্সেফবাড়ী জামে মসজিদ।