ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
‘বেস্ট কমান্ডার অফ দ্য ইয়ার’ আব্দুল হালিম
Published : Wednesday, 14 April, 2021 at 4:24 PM
‘বেস্ট কমান্ডার অফ দ্য ইয়ার’ আব্দুল হালিম সুদানের উনামিড শান্তিরক্ষা মিশনে পুলিশ প্রধানের কাছ থেকে কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘সার্টিফিকেট অব বেস্ট কমান্ডার অব দ্য ইয়ার’ সার্টিফিকেট পেয়ে রেকর্ড করেছেন বাংলাদেশ ফর্মড পুলিশ ইউনিটের কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) সকালে উনামিড মিশনের পুলিশ প্রধান ড. সুলতান আজম তিমুরির কাছ থেকে তিনি ‘সার্টিফিকেট অব বেস্ট কমান্ডার অব দ্য ইয়ার’ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

২০১৯ সালে ব্যানএফপিইউ কমান্ডারের নের্তৃত্বে ২৯ জন নারী সদস্যসহ ১৪০ জন উনামিড মিশনের দারফুর প্রদেশের নিয়ালা টিম সাইটে মিশন মেন্ডেট বাস্তবায়নে নিয়োজিত থাকে। এরপর ২০২০ সালের নভেম্বরে নিয়ালা টিম সাইট সফলভাবে সুদান স্থানীয় সরকারের কাছে হস্তান্তর করে মিশন মেন্ডেট বাস্তবায়নে এল ফাশের লিজিস্টিক বেজে নিয়োজিত হয়। এল ফাশেরে চৌকষভাবে ডিউটি পালনের পাশাপাশি কমান্ডারের নানামুখী আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজগুলো বেশ প্রশংসিত হয় এবং বাংলাদেশ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ পরিচিতি বাড়ে।

কমান্ডারের প্রচেষ্টায় এল ফাশের স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতার পরিচিতি করার লক্ষ্যে বই বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, বৃক্ষ রোপণ করা সহ সুদান পুলিশকে বিভিন্ন সহায়তা প্রদান, সংশোধন কারাগারে জীবনমান উন্নয়নে বিভিন্ন আয়মূলক প্রশিক্ষণ প্রদান বেশ সাড়া ফেলে।

তার এই কাজের দরুণ ইতোমধ্যে উনামিড পুলিশ কমিশনার কর্তৃক এর আগে ৮ বার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ কমান্ডারের স্বীকৃতি লাভ করেন।

২০২০ সালের আগস্টে কুটুম টিম সাইটে বেসামরিক লোকদের সুরক্ষা দিতে মাত্র আট ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত ফোর্স ও লজিস্টিক মালামাল নিয়ে ফাতাবর্নো ও কাসাব আইডিপি ক্যাম্প নিরাপত্তায় দীর্ঘ ৪ মাস নিয়োজিত থাকে। সফলতার সঙ্গে সেখানকার ক্যাম্প ও টিম সাইটে শান্তি রক্ষা ও প্রতিষ্ঠা করে এল ফাশেরে পুনরায় মিশন মেন্ডেট বাস্তবায়নে নিয়োজিত হয় এবং অবশেষে এই বছরের ১৩ ও ১৫ মার্চ এল ফাশের ড্র-ডাউন প্লান কার্যকরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

তিনি মিশনে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিশ্বের বুকে পরিচিতি করার উদ্দেশ্যে নানামুখি কর্মসূচি পরিচালনা করেন এবং নানা স্থাপনা তৈরি করেন।

তার এই কাজগুলো সুদানসহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সাড়া ফেলে এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়।

তিনি সুদানের নিয়ালা ও এল ফাশেরে মিশন ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের পাশাপাশি কোভিড নিয়ন্ত্রণে প্রচুর মাস্ক, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ ও স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়, লজিস্টিক বেজে ক্যাম্পেইন করা, হাসপাতালে সরঞ্জাম বিতরণসহ ক্যাম্পে নানা ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকেন।

তিনি ২০১৯ থেকে ২০২১ পর্যন্ত কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন শাখা প্রধান হতে সর্বমোট ৩০ এর অধিক সার্টিফিকেট লাভ করেন।

কমান্ডার মোহাম্মদ আব্দুল হালিম বলেন, এই মিশনে আমি বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ পুলিশকে পরিচিতি করতে নানা ধরনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। জাতির পিতার বাংলাদেশ সুদানে অবস্থানরত সকল বিদেশিদের মুখে মুখে। বাংলাদেশ পুলিশ এখানে একটি ব্র্যান্ড বলে সুপরিচিত।