
পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মোসা. আকলিমা বেগম নামে এক গৃহবধুকে মধ্যযুগীয় নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলো- শাকিল হোসেন (৪০), শাহ আলম গাজী (৫০), জাফর হাওলাদার (৪০), হৃদয় বিশ্বাস (১৯), মো. সজিব হাং (১৯), মনির মৃধা (৩৫), পারভেজ মীর (৩৫), ইউছুফ মৃধা (৩০), আজিজুল হক (৪৫)।
ওই বর্বর র্নিযাতনের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে পুলিশ তৎপর হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মুকিত হাসান খানের নেতৃত্বে শুক্রবার থেকে শনিবার দিবাগত রাত পর্যন্ত ঝটিকা অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল।
শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন- পটুয়াখালী গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। ওই হামলার ঘটনায় চার নারীসহ অন্তত ২৯ জন আহত হয়। শুধু তাই নয়, মধ্যযুগীয় নির্যাতনের পর ওই নারীর বসতঘর ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা।
ঘটনার বরাত দিয়ে এসপি বলেন, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবুল হাওলাদার ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন শিকদারের কর্মী-সমর্থকদের মধ্য চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
ঘটনাক্রমে ঊভয় গ্রুপ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ওই গ্রামের ৫টি বসতঘরে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে। কমবেশি অন্তত ২৯ জন আহত হয়। হামলা চলাকালে প্রতিপক্ষরা কালু হাওলাদাকে বেধড়ক পেটালে তার স্ত্রী আকলিমা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে যান। এ সময় হামলাকারী শাকিল হোসেন ওরফে শাকিল ডাক্তারের নেতৃত্বে ওই গৃহবধূকে মাটিতে ফেলে মধ্যযুগীয়ভাবে বর্বর নির্যাতন চালায়। যে দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত আকলিমাসহ চারজন বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।