Published : Saturday, 17 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 17.04.2021 12:43:50 AM
তানভীর
দিপু: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কুমিল্লায় এপ্রিল মাসের ১৫ দিনে মারা
গেছে ৫০ জন। গতকাল ১৬ এপ্রিল কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিশিয়াল
ফেসবুক পেইজে পাওয়া তথ্যানুসারে জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু ৩৩৮
জনের, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায়ও প্রাণহাণি ঘটে ৬ জনের। গত ৩১ মার্চ এ সংখ্যা ছিলো
২৮৮। এই পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে কুমিল্লায়
মৃত্যুর হার ৩ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে গত ১৫ দিনে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১
হাজার ৩শ ২৫ জন এবং সুস্থ হয়েছে ৪৯ জন।
জেলা করোনা প্রতিরোধ
কমিটির সাবেক সমন্বয়ক ও ভাইরোলজিষ্ট ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী জানান,
কুমিল্লায় মৃত্যু ও সংক্রমণ কমাতে চলমান ৭দিনের লকডাউনের পরও কঠোর
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এখন যাদের প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে তাদের
অধিকাংশই অন্তত ৫ থেকে ৭ দিন আগে আক্রান্ত হয়েছে চিকিৎসাধীন ছিলেন, সুতরাং
লকডাউনে জেলার করোনা পরিস্থিতির কতটা উন্নতি হয় তা জানতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ
অপেক্ষা করতে হবে। এর মধ্যে যদি আবার সাধারণ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক
দিনের মত স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রবণতা দেখা দেয় তবে ফলাফল একই হবে।
সুতরাং সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে, সংক্রমণ কম হলে মৃত্যু কম হবে।
জেলা
স্বাস্থ্যবিভাগের ১৬ এপ্রিলের তথ্যে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় করোনা
আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬ জন। নতুন করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১০৬ জন, এর মধ্যে
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৪৯ জন। তবে সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় কুমিল্লা
সিটির ১০ জন সুস্থও হয়েছেন। এর আগে গত ১২ এপ্রিল জেলা করোনা প্রতিরোধ
কমিটির সভায় জানানো হয়, কুমিল্লাতে করোনা সংক্রমণ হার ২৮ শতাংশের বেশি।
মৃত্যুর হারও ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
এদিকে কুমিল্লায় সংক্রমণ কমিয়ে আনতে
সারা দেশের সাথে একযোগে সর্বাত্মক লকডাউন পালিত হচ্ছে। সংক্রমণের আধিক্য
থাকায় কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় লকডাউন মানানোর প্রতি জোর দিচ্ছেন
প্রশাসন। প্রতিদিনই লকডাউন ও করোনা স্বাস্থ্যবিধি আইন অমান্যকারীদের
বিরুদ্ধে চলছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। নগরীতে প্রবেশের ২১টি পয়েন্টে
রয়েছে পুলিশের চেকপোষ্ট।
শুক্রবার লকডাউনের তৃতীয় দিনে শুক্রবার
কুমিল্লায় ভ্রাম্যমান আদালতের ১৬৩টি অভিযানে ১ লাখ ৩০ হাজার ৮৫০ টাকা
জরিমানা আদায় করা হয়েছে। লকডাউনের সময় সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে
দোকানপাট, শপিংমল খোলা রাখা, সিএনজি-ইজিবাইক চালানো ও মাস্ক পরিধান না করায়
কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় এই অভিযান চালানো হয়।