
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় একপক্ষের দলনেতাকে ধরার গুজবকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর হতে বিকাল পর্যন্ত ঘারুয়া ইউনিয়নের রাজেশ্বরদী গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। তবে গত দুদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ হচ্ছে বলেও খবর পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত দেলায়োর হোসেন ও আবু মোল্লাকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের ভাঙ্গা ও রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
থানা ও এলাকাবাসী জানান, শাখাওয়াত মাতুব্বর ও ইদ্রিস হাওলাদার নামে স্থানীয় দুজন দলনেতার মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছে দীর্ঘদিন। এরা উভয়েই বর্তমান এমপি মুজিবর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক। শনিবার দুপুরে একদলের নেতা শাখাওয়াত মাতুব্বরকে পুলিশ একটি মামলায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এরপর শাখাওয়াতকে প্রতিপক্ষ ধরে নিয়ে গেছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। খোঁজ-খবর না নিয়ে শাখাওয়াতের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষ ইদ্রিসের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। পরে দু’পক্ষ ঢাল, সড়কি, টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। কয়েক ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন আহত হন।
ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষকালে উভয়পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর ও গরু-ছাগলসহ অন্য মালামাল লুট করা হয়।
ভাঙ্গা থানার এসআই শহিদুল্লাহ বলেন, ‘গত দুদিন ধরে ওই গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। উভয়পক্ষ হতে থানায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’