রমজানে একটি ফরজ অন্য মাসে ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান
Published : Wednesday, 21 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 21.04.2021 1:02:40 AM
হযরত সালমান
(রা:) হতে বর্ণিত নবী করীম (স:) শাবান মাসের শেষ তারিখে আমাদেরকে নসিহত
করেছেন তোমাদের উপর এমন একটিমাস এসেছে যাহা অত্যন্ত মর্যাদা শীল ও বরকত ময়।
এই মাসে এমন একটি রাত (শবে কদর) রহিয়াছে যাহা হাজার মাস হইতে উত্তম।
আল্লাহতালা এই মাসে রোজা রাখাকে ফরজ করিয়াছেন এবং এই মাসের রাত্রিগুলিকে
নামাজ (অর্থাৎ তারাবির ইত্যাদি) পড়াকে সাওয়াবের কাজ বানাইয়াছেন। যে
ব্যক্তিও আল্লাহর নৈকট লাভের জন্য এই মাসে কোন নফল এবাদত করিল সে যেন
রমজানের বাহিরে একটি ফরজ আদায় করিল আর যে ব্যক্তি এই মাসে একটি ফরজ আদায়
করিল সে যেন রমজানের বাহিরে সত্তরটি ফরজ আদায় করিল। ইহা ছবরের মাস আর ছবরের
বিনিময় আল্লাহতালা জান্নাত রাখিয়াছেন। ইহা মানুষের সাথে সহানুভূতির মাস।
এখানে আমাদের নিজ নিজ ইবাদত সমূহের প্রাত একটু চিন্তা করা উচিত যে এই
মোবারক মাসে আমরা ফরজ ইবাদত গুলির কতটুকু এহ্তেমামের সাথে করিয়া থাকি এবং
নফল কতটুকু বাড়াইয়া দেই। ফরজ আদায় এর ব্যাপারে আমাদের অবস্থা হল, সেহ্রী
খাওয়ার পর যে ঘুমাইয়া যাওয়া হয় ইহাতে অধিকাংশ সময় ফজরের নামাজ কাজা হইয়া
যায় আর তা না হলে অন্তত: জামাতের সাথে নামাজ আদায় খুব কম লোকের হয়ে থাকে।
ঠিক তেমনিভাবে মাগরিবের নামাজ বা জামাত অনেক লোকের ছুটে যায় ইফতার শেষ করতে
করতে, অথচ জামাতের সাথে নামাজ আদায় করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল এইভাবে
অন্যান্য ফরজ এবাদতের বিষয় নিজেই চিন্তা করিয়া দেখুন যে রমজানুল মোবারক
কতটুকু এহ্তে মামের সাথে আমরা কাটিয়ে থাকি। ফরজ এবাদত গুলোর যখন এই অবস্থা
তখন আমাদের নফল আমলগুলোর হালাত কি হতে পারে এশরাক ও চশতের নামাজতো ঘুমে
কাটিয়া যায় আওয়াবিনত কঠিন কারণ এ মাত্র রোজা ভাঙ্গা হল ইফতারিত এখনো শেষ হয়
নাই আর তাহাজ্জত যায় সেহ্রী খাওয়াতে কাজেই নফল ইবাদতের সুযোগ কোথায়। যারা
ব্যবসা বানিজ্যের সাথে জড়িত তাদের অবস্থাতো দূরহ কারণ আল্লাহ তালা রমজান
মাস দিলেন আমাদেরকে আখেত অর্জন করতে কিন্তু আমাদের ব্যবসায়ী গণ এটাকে
দুনিয়া অর্জনের একটি মুখ্যম সময় হিসাবে গ্রহণ করেছেন। আল্লাহতালা আমাদের
বুঝার তাওফীক দান করুক।