নিজস্ব
প্রতিবেদক : করোনাভাইরাসে দেশে গত এক দিনে ৩ হাজারের বেশি নতুন রোগী নিয়ে
মোট শনাক্তের সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত এক দিনে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের নিয়ে দেশে
করোনাভাইরাসে মোট ১১ হাজার ২২৮ জনের মৃত্যু হল।
গত একদিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে আরও ৩ হাজার ৩১ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে ৭ লাখ ৫১ হাজার ৬৫৯ জন হয়েছে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৫ হাজার ২৩৪ জন রোগী
সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে এ পর্যন্ত সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ৬
লাখ ৬৬ হাজার ৯২৭ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা
পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ১৪ এপ্রিল। গত ১৩ দিনে
তাদের সঙ্গে যোগ হলো আরও অর্ধলাখ।
সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম
রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য
নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৫ এপ্রিল তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৪ কোটি ৭২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫৮টি ল্যাবে ২৪ হাজার ২৩৭টি
নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৫৩ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৪টি নমুনা।
২৪
ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ, এ পর্যন্ত
মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮
দশমিক ৭৩ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ৩৯ লাখ ৯০ হাজার ৬৮৪টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৪ লাখ ৪ হাজার ৮৪০টি।
গত
এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৪৫ জন পুরুষ আর নারী ৩৩ জন। তাদের
৪৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ২৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা
যান দুই জন।
তাদের মধ্যে ৫৩ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১৫ জনের বয়স ৫১
থেকে ৬০ বছর, ৭ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের
মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৫০ জন ঢাকা বিভাগের, ১০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৬
জন রাজশাহী বিভাগের, ৬ জন খুলনা বিভাগের, ১ জন বরিশাল বিভাগের, ৩ জন সিলেট
বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ২২৮ জনের মধ্যে আট হাজার ২২৬ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ২ জন নারী।
তাদের
মধ্যে ৬ হাজার ৩৮৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়াও ২ হাজার ৭২৭ জনের
বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ১ হাজার ২৪৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে,
৫৫৩ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ২০১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের
মধ্যে, ৭৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ৪২ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের
কম।
এর মধ্যে ৬ হাজার ৫৬৪ জন ঢাকা বিভাগের, ২ হাজার ২২ জন চট্টগ্রাম
বিভাগের, ৫৮৮ জন রাজশাহী বিভাগের, ৬৮৫ জন খুলনা বিভাগের, ৩৩২ জন বরিশাল
বিভাগের, ৩৮২ জন সিলেট বিভাগের, ৪১৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ২৩৮ জন ময়মনসিংহ
বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।