Published : Wednesday, 28 April, 2021 at 12:00 AM, Update: 28.04.2021 1:35:08 AM
মাসুদ
আলম।।
কুমিল্লায়
মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহ বইছে। তপ্ত রোদ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে
পড়েছে কুমিল্লার জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সাধারণ মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত।
চলতি বছরের এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় বৃষ্টি না হওয়া আর প্রচ- রোদে ঘর থেকে
বের হতে পারছে না শ্রমিক ও দিন মজুরসহ খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। সামান্য
স্বস্তির ও একটু শীতল পরিবেশের জন্য ছুটছে গাছের ছায়াতলে। একদিকে রমজান মাস
আর অন্যদিকে তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ।
গত ২৩ এপ্রিল থেকে
মঙ্গলবার ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত এই দীর্ঘ সময় ধরে কুমিল্লায় মৃদু থেকে মাঝারি
অর্থাৎ ৩৬-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা পড়ছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার কুমিল্লায়
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে প্রায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত
রবিবার কুমিল্লার সর্বোচ্চ তাপদাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এটা ছিলো মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এই তাপদাহ আগামী ২৯/৩০ এপ্রিল
পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে বুধবার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হালকা বাতাস ও
বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তা যদি না হয় তাহলে আগামী ৩০ তারিখের পর
বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে জানান,
আবহাওয়া অধিদপ্তর কুমিল্লার আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ইসমাইল হায়দার।
তিনি
জানান, ৩০ এপ্রিলের পর বৃষ্টিপাত হলে তাপমাত্রা কমে গিয়ে পরিবেশ উন্নতি
হবে। তাপমাত্রা কমে ৩৪-৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে। তবে এ বৃষ্টিপাত
বেশিদিন স্থায়ী হবে না।
এদিকে প্রচ- তাপদাহের কারণে কুমিল্লার শ্রমজীবী
মানুষদের হাঁসফাঁস করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে শ্রমিক শ্রেণির মানুষ পড়েছেন
চরম দুর্ভোগে। তীব্র গরমে অফিস আদালতগামী মানুষজন, শহরে জরুরি সেবা নিতে
আসা মানুষজন পড়েছেন বিপাকে। গরমের কারণে শহরে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়াতে অতিষ্ঠ
হয়ে পড়েছে মানুষ।
রিমন নামের এক রিকশাচালক বলেন, প্রচ- গরম আর রোদের
কারণে রিকশাচালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে তেমন যাত্রীও মিলছে না।
তারপরও পেটের দায়ে রিকশা চালাচ্ছি।
আতিক নামের এক নির্মাণ শ্রমিক বলেন, গরমে কাজ করতে পারছি না। তাই ছায়ায় বসে আছি।
লিমন নামের এক ব্যক্তি বলেন, কুমিল্লায় অনেকদিন বৃষ্টি হচ্ছে না। রোদে গরমে মানুষ অতিষ্ঠ। জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ।
এদিকে
দীর্ঘদিনের অনাবৃষ্টিতে কৃমিল্লার বিভিন্ন উপজেলায় পানির সংকট দেখা
দিয়েছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক টিউবওয়েল ও মোটরে পানি না ওঠার
খবর পাওয়া গেছে।