ভারতে একদিনে তিন লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ভারতে তো বটেই, বিশ্বেও এই প্রথম কোনও একটি দেশে একদিনে এতো বেশি সংখ্যক মানুষের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হলো। গত বছর কোভিডের প্রথম ঢেউয়ে দেশটিতে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কখনও এক লাখ পেরোয়নি। ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ অতিক্রম করে। তার ১০ দিন পর, ১৫ এপ্রিল শনাক্ত ছাড়ায় দুই লাখের গণ্ডি। এর এক সপ্তাহের মাথায় এ সংখ্যা তিন লাখ ছাড়ায়, যা এরইমধ্যে তিন লাখ ৬০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
২৮ এপ্রিল বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে তিন লাখ ৬০ হাজার ৯৬০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আগের দিনের তুলনায় এদিন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৭ হাজার। পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৯৩ জনের। করোনাভাইরাসের জেরে এই প্রথম দেশটিতে একদিনে মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ছাড়ালো। এ নিয়ে ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু গত সাড়ে তিন মাসে মৃত্যু হয়েছে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের।
তিন লাখ ৬০ হাজার নতুন সংক্রমণের জেরে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৬৭। আক্রান্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগী বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৯৬ হাজার।
ভারতে এখন মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২৯ লাখ ৭৮ হাজার ৭০৯। এই বিপুল সংখ্যক সক্রিয় রোগীকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। রোজ অনেক রোগী মারা যাচ্ছেন শুধু অক্সিজেনের অভাবে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১৭ লাখেরও বেশি। সংক্রমণ হার ছাড়িয়েছে ২০ শতাংশ। অর্থাৎ করোনা পরীক্ষা হওয়া প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে রোগীদের পরিষেবা দেওয়ার পরিসর ক্রমেই কমে আসছে। অনেক ক্ষেত্রেই একই শয্যায় একাধিক রোগীকে শুয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অনেক জায়গাতেই অস্থায়ী কোভিড কেয়ার কেন্দ্র তৈরি করে পরিস্থিতি মোবাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার।