মজিবুর রহমান বাবলু।।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে রোটা ভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গড়ে ২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকদের দাবি, সরকারিভাবে এই ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করতে না পারায় এই ভাইরাসে দিন দিন শিশু আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
হাসপাতালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রোটা ভাইরাস আক্রান্ত শিশুদেরকে নিয়ে অভিভাবকরা চিকিৎসা সেবা নিতে প্রতিদিন ভিড় করছে। অনেকে আবার তাদের সন্তানদেরকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র নার্স সামছুন্নাহার, সালমা বেগম ও শিপ্রা রানী দাস জানান, প্রতিদিন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ২০ জন শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। এছাড়াও সিজনাল জ¦র ও টাইফয়েড জ¦রে আক্রান্ত হয়ে গড়ে প্রতিদিন ১১ জনের মতো বয়স্ক রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
ডাক্তার সামছুল ইসলাম রানা জানান, ‘লকডাউন শুরু হওয়ার আগে হাসপাতালে আমি প্রতিদিন ৩০ জনের উর্ধ্বে শিশুকে রোটা ভাইরাসের চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। বর্তমানে লকডাউনের কারণে এ হাসপাতালে আসা রোগীর সংখ্যা কম হলেও দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হাসিবুর রহমান জানান, ‘সরকারিভাবে রোটা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করা যাচ্ছে না। প্রতিটি রোটা ভাইরাসের টিকার দাম পড়ে ২২’শত টাকা। ফলে গরীব-অসহায় রোগীরা এ টিকা কিনতে পারছে না। তবে সরকারিভাবে রোটা ভাইরাসের টিকা প্রয়োগ করা শুরু হলে এ ভাইরাস কমে আসবে। তিনি আরও জানান, এ ভাইরাসের কারণে অধিকাংশ শিশু ডায়েরিয়া, বমি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে’।