নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে; একদিনে আরও ২ হাজার ৯৫৫ জনের মধ্যে ধরা পড়েছে সংক্রমণ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৭৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১১ হাজার ৩০৫ জনে। আর নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৪ জন হল।
সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে আরও ৫ হাজার ৩৯২ জন গত এক দিনে সেরে উঠেছেন। সব মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৭২ হাজার ৩১৯ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গতবছর ৮ মার্চ; তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে গত ৭ এপ্রিল রেকর্ড ৭ হাজার ৬২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ বছর ২৫ এপ্রিল তা ১১ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিশ্বে শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা ১৪ কোটি ৮৭ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩১ লাখ ৩৬ হাজারের বেশি মানুষের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩ তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫৮টি ল্যাবে ২৮ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীা হয়েছে ৫৪ লাখ ২৩ হাজার ৭৩০টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় এ পর্যন্ত নমুনা পরীা করা হয়েছে ৪০ লাখ ৮ হাজার ১২৩টি। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হয়েছে ১৪ লাখ ১৫ হাজার ৬০৭টি।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৫৩ জন পুরুষ আর নারী ৩৪ জন। তাদের ৪৯ জন সরকারি হাসপাতালে, ২৭ জন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। বাসায় মারা যান এক জন।
তাদের মধ্যে ৫২ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছর, ৮ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছর, এবং ২ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
মৃতদের মধ্যে ৪৬ জন ঢাকা বিভাগের, ৯ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৫ জন রাজশাহী বিভাগের, ৭ জন খুলনা বিভাগের, ৫ জন বরিশাল বিভাগের, ২ জন সিলেট বিভাগের, ১ জন রংপুর বিভাগের এবং ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।
দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ১১ হাজার ৩০৫ জনের মধ্যে আট হাজার ২৬৯ জনই পুরুষ এবং তিন হাজার ৩৬ জন নারী।