ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গত বছরও চীনের জনসংখ্যা বেড়েছে: পরিসংখ্যান ব্যুরো
Published : Thursday, 29 April, 2021 at 1:46 PM
গত বছরও চীনের জনসংখ্যা বেড়েছে: পরিসংখ্যান ব্যুরোচীনের মোট জনসংখ্যা বৃদ্ধি ২০২০ সালেও অব্যাহত ছিল বলে দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদমশুমারির ফলাফল প্রকাশ করার সময় এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে বলে বৃহস্পতিবার এক বাক্যের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে তারা।

গত বছরের শেষে পরিচালিত হলেও আদমশুমারির ফল এখনও প্রকাশ করেনি পরিসংখ্যান ব্যুরো। চীনে প্রতি এক দশকে একবার জনসংখ্যা গণনা করা হয়।

চীন পাঁচ দশেকর মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা হ্রাসের কথা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বলে মঙ্গলবার ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞাত সূত্রগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়।

সূত্রের বরাত দিয়ে ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস জানায়, জনসংখ্যার এসব পরিসংখ্যান খুবই সংবেদনশীল এবং এ নিয়ে সরকারের দপ্তরগুলো একমত না হওয়া পর্যন্ত তা প্রকাশ করা হবে না।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছিল, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে জনসংখ্যা কমে আসতে পারে।

জনসংখ্যা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ২০১৬ সালে চীন কয়েক দশক ধরে চলা এক সন্তান নীতি বাতিল করে দুই সন্তান নীতি গ্রহণ করে।

এ সময় ২০১০ সালে নির্ধারণ করা ১৩৪ কোটির বদলে ২০২০ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বাড়িয়ে একশ ৪২ কোটি করার লক্ষ্য ঠিক করে বেইজিং, কিন্তু দেশটিতে জন্মহার কমতেই থাকে।

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, নগরের দম্পতিরা বিশেষ করে ১৯৯০ সালের পর যাদের জন্ম হয়েছে, তারা পরিবারের চেয়ে ক্যারিয়ার এবং স্বাধীনতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই মূলত এমনটি ঘটছে।

প্রধান নগরগুলোতে জীবনযাত্রার খরচ এবং সেখানে বিপুল জনসংখ্যার বিপরীতে শিশু জন্মহার বেশি হওয়ার কারণেও দম্পতিরা সন্তান নিতে অনাগ্রহী হয়ে উঠেছেন বলে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে।

দেশটির পতনশীল জন্মহার কর্মক্ষম জনসংখ্যার ওপর চাপ তৈরি করবে এবং উৎপাদনশীলতার ওপর আঘাত হানবে বলে মত বিশ্লেষকদের।