ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দেবিদ্বারে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার স্বামীসহ আটক ২
Published : Saturday, 1 May, 2021 at 12:00 AM
শাহীন আলম, দেবিদ্বার ।।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি ভাড়াটে ফ্যাট থেকে এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাছলিমা আক্তার নামের ওই নারী মুরাদনগর উপজেলার নোয়াগাঁও এলাকার মো. হোসেন মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় তার স্বামী মো. রবিউল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। আটক রবিউল ইসলাম দেবিদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর এলাকার শাহ আলম মিয়ার ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় পৌরসভার গোমতী আবাসিক (বানিয়াপাড়া) এলাকার ‘পুষ্পকুঞ্জ’র ৪র্থ তলার পূর্বপাশের ফ্যাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করে।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ  মো. আরিফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহত তাছলিমার ফোনের সূত্র ধরে শুক্রবার ভোরে সন্দেহভাজন স্বামী মো. রবিউল ইসলামকে আটক করা হয় এবং সুমন নামে তার এক সহযোগিকেও আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, সে এ হত্যাকা-ের সাথে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চলতি মাসে ১৮ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে দেবিদ্বারের ওই বাড়ির ৪র্থ তলার একটি ফ্যাট ভাড়া নেয় ওই দম্পত্তি। ভাড়া নেয়ার সময় বাড়ির মালিক  এনআইডি কার্ড চাওয়ায় রবিউল একটি এনআইডি কার্ড দেখিয়ে বলে এটি ফটোকপি করে এনে দিবে। পরে ২০ এপ্রিল পুনরায় এনআইডি কার্ড চাওয়ায় বিকালে দিবে বলেন জানান রবিউল। পরে রাত থেকে তাদের ফ্যাটটি তালাবদ্ধ দেখতে পায় বাড়ির মালিক শাহ জালাল। রাতে তাছলিমাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ভাড়া বাসায় ফেলে যায় রবিউল।  
নিহত তাছলিমার ছোট ভাই প্রবাস ফেরত সজিব জানান, প্রথমে মুরাদনগর উপজেলার থোল্লা গ্রামের সাগর নামে এক ব্যক্তির সাথে তার বোনের বিয়ে হয়েছিলো, ওই সংসারে তার দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। পরে গত তিন বছর আগে রবিউলের সাথে প্রেমের সম্পর্কে বিয়ে হয়। এ সংসারে ৬মাসের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সজিব আরও বলেন, রবিউল শ^শুর বাড়িতে জানায় তাছলিমাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরাও অনেক জায়গায় খোঁজাখুজি করি। খুঁজে কোথাও না পেয়ে গত ২৭ এপ্রিল মুরাদনগর থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে স্বামী রবিউল। যার নং ৯৬৩। আমাদের বাড়ির কাউকে না জানিয়ে রবিউল আমার বোনকে দেবিদ্বারে ভাড়া করা বাসায় নিয়ে আসে এবং এখানে হত্যাকা- ঘটিয়ে এ বাসাতেই ফেলে আমাদের বাড়িতে গিয়েই আত্মগোপন করে।     
অপর একটি সূত্র জানায়, নিহত তাছলিমা ও তার স্বামী রবিউল ইসলাম বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে আসছিলো। ওই দিন রাতে অসামাজিক কাজের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্ধের জেরে তাছলিমাকে শ^াসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার সার্কেল সহকারী পুলিশ  সুপার মো. আমিরুল্লাহ বলেন, মুরাদনগরের নোয়াগাঁও শ^শুর বাড়ি থেকে শুক্রবার ভোরে আটক করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল হত্যাকা-ের সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে দায় স্বীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, রবিউল নানা রকম বিভ্রান্তকর তথ্য দিচ্ছে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং হত্যাকা-ের সাথে জড়িত বিভিন্ন আলামত জব্দ করা হয়েছে তা অধিকতর পর্যালোচনা করা হচ্ছে।