![ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ, যুবকের আত্মহত্যা ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপ, যুবকের আত্মহত্যা](http://comillarkagoj.com/2021/05/02/1619942379.JPG)
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করার চাপে রুবেল মিয়া নামের এক যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) উপজেলার ডোমবাড়ীচালা গ্রামে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।
মৃত রুবেল একই গ্রামের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বলেন, পিদিম থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে আমরা কৃষিকাজ শুরু করি। পুরো টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম সবজিচাষে। সবেমাত্র ফলন আসছে। এরইমধ্যে তারা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সমিতির লোকজন আমাদের শাসিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, শনিবার (১ মে) টাকা দেয়ার তারিখ ছিল। কিন্তু কোনো টাকাও আমাদের কাছে ছিল না। এ নিয়ে রুবেলের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছিল।
পরে শুক্রবার দুপুরে তিনি ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। তার গোঙানীর শব্দ পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
হমড়
তিলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড সদস্য তারেক হাসান বাচ্চু বলেন, পারিবারিক নানা ঝামেলা ও কিস্তির টাকা জোগাড় করতে না পেরে যুবকের মধ্যে বিষণ্নতা তৈরি হয়। এ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে করোনার এ সময়ে কিস্তি উত্তোলন বন্ধ করা প্রয়োজন ছিল। এসময় কৃষকরা এমনিতেই ভালো অবস্থায় নেই।
পিদিম ফাউন্ডেশনের (মাস্টারবাড়ী উত্তর) ব্যবস্থাপক রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রীর যৌথ ছবি নিয়ে স্ত্রী সেলিনা আক্তারকে ঋণ দিয়েছি। তার স্ত্রী আমাদের সদস্য। গত বৃহস্পতিবার মাঠকর্মী তার বাড়িতে যায় টাকা আদায়ের জন্য।
তিনি আরও বলেন, শনিবার টাকা দেয়ার তারিখ দিয়েছিলেন তারা। পরে আমরা জানতে পারি, শুক্রবার সেলিনার স্বামী আত্মহত্যা করেছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। তবে প্রতিষ্ঠানের কেউ ঋণের কিস্তির জন্য তাকে চাপ দেননি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, ঋণের কিস্তির চাপে আত্মহত্যার অভিযোগ সঠিক নয়। নিহত যুবকের বাবা ও মা বলেছেন তার ছেলের মানসিক সমস্যা ছিল। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি থানায়।