তানভীর দিপু:
করোনার লকডাউনে কমে গেছে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় রোজগার। নিয়মিত বাজার-সদাই যায় না এসব মানুষের ঘরে। এমন দুর্দশায় প্রথম সারিতে আছেন নরসুন্দরের, করোনার প্রভাবে সাধারন মানুষের সেলুনে যাওয়া কমে যাওয়া আয় রোজগারে ভাটা পড়েছে এসব মানুষের। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তিনভাগের একভাগ আয়ও জোটে না এখন। তাদের সহযোগিতায় যৌথভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। শনিবার দুপুরে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে সাড়ে ৪ শ’ সেলুন মালিক ও কর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী হাতে তুলে দেন তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারাণ সম্পাদক নাজমুল আহসান ফারুক রোমেনসহ অন্যান্যরা।
উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, করোনা মহামারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছরও সাধারণ মানুষের খোঁজ নিয়েছেন, এবারও তাদের খোঁজখবর রাখছেন। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমরা চেষ্টা করবো কুমিল্লা সকল অসহায় ও অস্বচ্ছল মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামলুল হাসান বলেন, কুমিল্লায় অসহায় মানুষদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন নিজ উদ্যোগে যেমন এসব উপহার পৌঁছে দিচ্ছে, তেমনি যদি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তাদের প্রয়োজনের কথা জানায়-তাদেরকেও দেয়া হচ্ছে। কুমিল্লায় কেউ খাবারের কষ্ট পাবে না।
চাল, ডাল, তেল, চিনি, লবন, সাবান, আলুসহ বেশ কয়েকদিনের খাদ্যসামগ্রী একসাথে পেয়ে খুশি এসব নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। খাদ্য সামগ্রী উপহার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন তারা।
সেলুন কর্মী কৈলাশ জানান, সংকটময় মুহুর্তে এমন উপহার মানুষের মুখে হাসি ফোঁটায়। করোনা লকডাউন চলাকালে এভাবে মানুষ সহযোগিতা পেলে অনেক উপকার হবে।
উপহারের প্যাকেট হাতে হাসি মুখে মুক্তিরানী জানান, দোকান ফেলে আসতে পাারেনি তার ছেলে। তাই তিনি এসেছেন উপহার নিতে। একসাথে এত কিছু দিবে ভাবতে পারিনি। মাঝে মধ্যে এমন উপহার পেলে অভাবী মানুষের অভাব থাকবে না।
জেলাপ্রশাসনের খাদ্যসামগ্রী ছাড়াও প্রতিজনকে ৫ কেজি আলু দেয়া হয় এমপি বাহারের পক্ষ থেকে।