২০১৪ সালে অভিষেকের পর থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিশেষজ্ঞ টেস্ট বোলার হিসেবেই খেলছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের পর তার নামের পাশেই রয়েছে সর্বোচ্চ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই তাইজুল নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। মাঝে আরও ছয়বার ফাইফার তথা ৫ উইকেট নিলেও কোনোটিই ছিল না দেশের বাইরে। অবশেষে ৭ বছর পর শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে ফাইফারের দেখা পেলেন ২৯ বছর বয়সী এ স্পিনার।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯.৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৭২ রান খরচায় ৫ উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। যার মাধ্যমে ঘোচালেন ২৯ মাসের অপেক্ষা। কেননা সবমিলিয়ে সবশেষ ২৯ মাস আগেই টেস্টে ফাইফার পেয়েছিলেন তিনি।
২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ৩৩ রান খরচায় ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল। এরপর ২৯ মাস কেটে গেলেও ফাইফারের দেখা পাচ্ছিলেন তিনি। এ সময়ের মধ্যে ১৬ ইনিংসে বোলিং করে চারবার ৪ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আসেনি ৫ উইকেট।
অবশেষে শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়ে শেষ হলো অপেক্ষা। অবশ্য সাত বছরের ক্যারিয়ারে দুই ফাইফারের মধ্যে এর চেয়েও দীর্ঘ বিরতি রয়েছে তাইজুলের। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে খুলনা টেস্টে তৃতীয়বারের মতো ফাইফার নেন তাইজুল।
এরপর চতুর্থ ফাইফারের জন্য অপেক্ষা ৪২ মাস ও ২৩ ইনিংসের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৩ রানে ৬ উইকেট নেয়ার পর ২০১৮ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০৮ রানে নেন ৬ উইকেট। সেবার অবশ্য পরের দুই ইনিংসেও ফাইফার নিয়েছিলেন তাইজুল।
এবার দুই ফাইফারের মাঝে কেটেছে ২৯ মাস ও ১৬টি ইনিংস। এ দীর্ঘ অপেক্ষার ভরপাই হিসেবে আগেরবারের মতো টানা তিন ইনিংসে ফাইফার নেবেন তাইজুল- এমনটাই প্রত্যাশা থাকবে বাংলাদেশ দলের।
উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের অষ্টম ফাইফারের মাধ্যমে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেটের তালিকায় এককভাবে দুই নম্বরে উঠেছে তাইজুল। তার চেয়ে বেশি ফাইফার রয়েছে শুধুমাত্র সাকিব আল হাসানের (১৮)। এছাড়া সমান ৭ বার করে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ রফিক ও মেহেদি হাসান মিরাজ।