কবির
হোসেন, তিতাসঃ
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় প্রকাশ্যে ৩ জনকে কুপিয়ে গুরুতর
আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার ইফতারের পর আনুমানিক ৬:৪০
মিনিটে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়ন কালাচান্দ কান্দি গ্রামে জমির আলীর মুদি
দোকানের সামনে। আহতদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে
নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার
ইফতারে পর জমির আলীর দোকানে জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ আলী ও ইয়াছিন ওরফে শিকুসহ
আরো কয়েকজন বসে চা খাচ্ছিলো, এমন সময় একই গ্রামের মোঃ মোকবুল মিয়ার ছেলে
সোহেল,মৃত মবিন মিয়ার ছেলে দিদার,শহিদ মিয়ার ছেলে আল-আমিন ও রহিম মিয়ার
ছেলে রাসেলসহ আরো কয়েকজন হাতে রামদা, রড নিয়ে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে
এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতরা হলো - উপজেলার কালাচান্দ কান্দি
গ্রামের হিরন মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর (২৬) ও ইয়াছিন ওরফে শিকু(১৯) ও হযরত
আলীর ছেলে মোহাম্মদ আলী(৩০)। আহতদের মধ্যে ইয়াছিন ওরফে শিকুর ডান কান
সন্ত্রাসীদের দাড়ালো অস্ত্রের কুপে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এবিষয়ে স্থানীয়
ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন ২মে উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি
হেলাল হোসেনকও ওই সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে,এতে সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যম ফেসবুকে জাহাঙ্গীর, মোহাম্মদ আলী ও শিকু প্রতিবাদ করায়, সন্ত্রাসী
আল-আমিন, দিদার, রাসেল ও সোহেল গং ক্ষিপ্ত হয়ে আরো কয়েজজন মিলে
পরিকল্পিতভাবে এই হামলা করেছে। একই গ্রামের বাসিন্দা কুমিল্লা উত্তর জেলা
আওয়ামীলীগের সদস্য ও তিতাস উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক হাজী নাছির
উদ্দিন বলেন আমার গ্রামে যেই ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যান্ত দুঃখ জনক,যারা এই
ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক
শাস্তির ব্যবস্থা করার জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
তিতাস থানার ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন খবর পেয়ে আমি রাতেই হাসপাতালে গিয়ে
আহতদের দেখেছি এবং আগের ঘটনায় থানায় নিয়মিত মামলা হয়েছে, হামলাকারীদের
গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে,গতকালকের ঘটনায়ও মামলা হবে। উল্লেখ গত গত ২ মে
২০২১ইং তারিখে তিতাস উপজেলা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি হেলাল হোসেন কে কুপিয়ে
আহত করেছে এই সন্ত্রাসীরা।এঘটনায় তিতাস থানায় একটি মামালাও রুজু করা হয়েছে।
হেলালের হোসেনের পক্ষে তারা প্রতিবাদ করায় তারই জের ধরে এই হামলার ঘটনা
ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।