Published : Sunday, 9 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 09.05.2021 1:18:00 AM
তানভীর
দিপু: ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে কোয়ারেন্টিন
পালন ছাড়াই কুমিল্লায় চলে এসেছেন ৫ জন। তারা সবাই কুমিল্লার বাসিন্দা।
কুমিল্লায় আসার পর র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টে তারা নেগেটিভ আসলেও তাদেরকে
আইসোলেটেড করা হয়েছে; আবারও তাদের করোনা টেস্ট করানো হবে। গত ৫দিন আগে
কুমিল্লায় এসে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিজেরাই কোয়ারিন্টেনের জন্য আবেদন
করেন। তারা বর্তমানে কুমিল্লা সদর হাসপাতালের আইসোলেটেড অবস্থায়
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিনে আছে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন
কক্ষে কোভিড-১৯ পর্যালোচনা সভায় এসব তথ্য দেন কুমিল্লা সিভিল সার্জনর মীর
মোবারক হোসাইন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ
প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম। সিভিল সার্জন মীর
মোবারক হোসাইন বিষ্ময় প্রকাশ করে কুমিল্লার কাগজকে জানান, অন্তত ৭দিন আগে
ভারত থেকে বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। দুই দিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে
তারা কুমিল্লায় আসে। যদি তাদের মধ্যে কেউ করোনার বাহক হয়ে থাকতে তবে তারা
কত জায়গায় ভাইরাস ছড়াতে পারতেন! আমরা আশা করি বন্দরগুলোতে যদি সঠিক
কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হবে। না হয় ভারত থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে
ভারতীয় ধরনের করোনা ছড়ানোর আশংকা খুব বেশি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়
সূত্রে জানা গেছে, আইসোলেশনে থাকা এই ৫ জন চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন।
তাদের ২ জনের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলায় এবং বরুড়া উপজেলার একই পরিবারের ৩ জন ।
নাঙ্গলকোটের দুই জন চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইতে যান। ৩০ এপ্রিল তারা
যশোরের বেনাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। দুই দিন বেনাপোল
স্থলবন্দরে কোয়ারেন্টাইনে থাকলেও পরে চলে আসেন কুমিল্লায়। কুমিল্লাতে এসেই
যোগাযোগ করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে আইসোলেশনে
রাখা হয়। বরুড়ার পরিবারটিও চিকিৎসার জন্য ভারতের বেঙ্গালুরুতে যান। ২৮
এপ্রিল বেনাপোল বন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। প্রাইভেটকার ভাড়া করে ৩
মে কুমিল্লায় চলে আসেন। তারা জানায়, ভারত থেকেও তারা করোনা টেস্ট করিয়ে
নেগেটিভ হওয়ায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। বাংলাদেশেও তাদের করোনা টেস্ট করানো
হয়, যার ফলাফল নেগেটিভ আসে।
সিভিল সার্জন আরো জানান, তারা ভারতে বা
বেনাপোলে করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ আসলেই যে নিরাপদ; তা নয়। সরকারি যে
নির্দেশনা তাদের ১৪ দিন বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পালন করা উচিত ছিলো। তারপর
তারা কুমিল্লায় আসা উচিত ছিলো।