কানাডার ভ্যাঙ্কুভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২৮ বছরের এক যুবককে প্রকাশ্য দিবালোকে সবার সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, দুই ‘গ্যাংয়ের’ মধ্যে বিরোধের জেরে ওই যুবককে হত্যা করা হয়েছে। গুলি ছোড়ার পর সন্দেহভাজন বন্দুকধারী অন্যদের সঙ্গে একটি গাড়িতে করে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা পুলিশের দিকেও গুলি ছোড়ে।
বিবিসি জানায়, ঘটনাস্থলের ছবিতে পুলিশের একটি গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে গুলি লেগে গর্ত হয়ে যেতে দেখা যায়। গাড়ির একটি জানালাতেও গুলি লেগেছে।
ঘটনার পর কিছুক্ষণের জন্য ভ্যাঙ্কুভার বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পরে সেটি খুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তারা এক বা একাধিক সন্দেহভাজনকে খুঁজছেন।
স্থানীয় দৈনিক ভ্যাঙ্কুভার সান জানায়, রোববার স্থানীয় সময় বিকাল ৩টার দিকে (২০:০০ জিএমটি) বহির্গমন টার্মিনালের বাইরে এ ঘটনা ঘটে। গুলির শব্দ শুনে সেখানে থাকা আতঙ্কিত লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের আশায় দৌড়াতে শুরু করে।
পুলিশ ওই সময় একটি ‘এসইউভি’ গাড়ির পথরোধ করেছিল। কিন্তু পুলিশের গাড়ির দিকে গুলি ছুড়ে সেটি পালিয়ে যায়। ব্যস্ত সড়ক হওয়ায় পাল্টা গুলি ছুড়ে সেটিকে থামানোর চেষ্টা করা হয়নি বলে জানায় পুলিশ।
বিমানবন্দরে গোলাগুলির পর প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে পুলিশ একটি পোড়া গাড়ি খুঁজে পায়। পুলিশের ধারণা, সন্দেহভাজন সেই গাড়িতেই পালিয়ে গিয়েছিল এবং প্রমাণ নষ্ট করতে সেটি পুড়িয়ে দেয়।
পুলিশ নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করতে পেরেছে। পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘‘আগে থেকে পরিকল্পনা করেই দিনের আলোতে ভিড়ের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।”
“এই প্রজন্মের গ্যাংস্টাররা সহিংসতাকে অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছে। প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা না করা পর্যন্ত তারা কিছুতেই ক্ষান্ত হয় না। এমনকী তা হোক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, দিনের আলোতে, মা দিবসে এবং সবার জীবন ঝুঁকিতে ফেলে কিংবা পুলিশের দিকে গুলি ছুড়ে হলেও।”