ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লা ইপিজেডের চায়না কোম্পানির কর্মকর্তা হত্যা মামলায় আরো দুইজন
গ্রেপ্তারদ্রুত বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
Published : Monday, 10 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 10.05.2021 12:54:28 AM
কুমিল্লা ইপিজেডের চায়না কোম্পানির কর্মকর্তা হত্যা মামলায় আরো দুইজন নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লা ইপিজেডের চায়নিজ জুতা কোম্পানি সিং শ্যাং এর এইচআর অফিসার খায়রুল বাশার হত্যাকান্ডের ঘটনায় সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নেয়া শাহরিয়ার রহমান জিহাদ ওরফে কালা ফাহিম ও সাগর হোসেন আল-আমিন নামে আরো দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। পরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায় গোয়েন্দা পুলিশ। গোয়েন্দা পুলিশ এবং মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা শাহিন কাদির জানান, রোববার ভোরে কুমিল্লার ভারতীয় সীমান্তবর্তী গোলাবাড়ি এলাকা থেকে কালা ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।মূল হত্যাকান্ডে যে কয়জন অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে ফাহিম অন্যতম। সে দক্ষিণ চর্থার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে, গ্রামের বাড়ি দেবিদ্বার উপজেলায়।
অন্যদিকে র‌্যাব-কুমিল্লার পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা গেছে, গতকাল রাতে দৌলতপুর রেল গেইট এলাকা থেকে সাগর হোসেন আল-আমিন(২৪) নামে খায়রুল হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আরো একজনকে আটক করা হয়। নগরীর গোবিন্দপুর এলাকার মৃত জহিরুল রহমানের ছেলে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়- এজহারনামীয় প্রধান আসামী মহিউদ্দিন আদালতের নিকট ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে স্বীকার করে যে উক্ত হত্যাকান্ডের নির্দেশদাতা/ মূল হোতা ছিলো মোঃ সাগর হোসেন আলামিন। আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য তাকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তারন্তর করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার ফাহিম ও আলামিনকে রবিবার আদালতে নেয়া হলে ফাহিম  সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত -২ এর বিচারক ইরফানুল হকের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। পরে দু’জনকেই কারাগারে পাঠানো হয়। এনিয়ে খায়রুল বাশার হত্যা মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার  সুমনকে ছুরিকাঘাত করা মহিউদ্দিন নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সে দক্ষিণ চর্থা এলাকার আবদুল হকের ছেলে।
এদিকে খায়রুল বাশার সুমনকে হত্যাকারী সকলকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবীতে মানবন্ধন করেছে তার সহপাঠী বন্ধু ও স্বজনরা। আজ রোববার সকালে কুমিল্লা প্রেসকাবের সামনে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারীরা এই মামলায় অপরাপর আসামীদের দ্রুত সময়ে গ্রেপ্তার করে বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। উল্লেখ্য, ৩০ এপ্রিল বিকেলে কুমিল্লা ইপিজেড এর সামনে ঘাতকদের ছুরিকাঘাতে মারা যান খায়রুল বাশার সুমন। কোম্পানি থেকে চাকরিচ্যুতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমনকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত করেছে র‌্যাব ও পুলিশ।