মাসুদ
আলম।। করোনাভাইরাস সংক্রামণ ঝুঁকি উপেক্ষা করে কুমিল্লার মার্কেট, শপিং মল
ও বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের সমাগম বেড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটা
করতে আসা মানুষ ফুটপাত, সড়ক ও অলিগলিতে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। সেই সঙ্গে
যুক্ত হচ্ছেন জেলার ১৭ উপজেলা থেকে আসা ক্রেতারাও। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে ক্রেতা
ও মানুষের সমাগম ততো বাড়ছে।
এই বাড়তি সমাগমে চলমান করোনাভাইরাসের
সংক্রামণ এড়াতে উপচে পড়া ক্রেতা ও মানুষের মাঝে শতভাগ মাস্ক নিশ্চিত করতে
কুমিল্লার ঈদ বাজারে মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিং মল এবং সড়কের মোড়ে মোড়ে
তদারকি ও মনিটরিং বাড়িয়েছে জেলা প্রশাসন। সেই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতা ও সড়কে
মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সোমবার কুমিল্লার
কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, টমছম ব্রিজ, চকবাজার, পুলিশ লাইন ও
শাসনগাছায় এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মাস্ক বিতরণের সঙ্গে মোবাইল কোর্ট
পরিচালনা করে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। মোবাইল কোর্ট
পরিচালনার সময় মাস্ক না পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা ব্যক্তিদের ২২টি
মামলাসহ ১৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় ২৫০০ পিছ মাস্ক অসহায়
সামর্থ্যহীনদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
(সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে কুমিল্লার নগরীর মার্কেট,
শপিং মল ও বিপণিবিতান ছাড়াও কুমিল্লার কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ, টমছম
ব্রিজ, চকবাজার, পুলিশ লাইন ও শাসনগাছায় এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে মাস্ক
নিরবিচ্ছিন্নভাবে তিনজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও ১৩জন নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে।
মাস্ক বিতরণ ও মোবাইল
কোর্টের বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন
বলেন, চলমান করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে মানুষের মাঝে শতভাগ মাস্ক পরা
নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন মাস্ক বিতরণ করে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত
করতে। সোমবার কুমিল্লার মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিং মল ও ফুটপাত ছাড়াও শহরের
১৫/১৬টি পয়েন্টে ২৫ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটরা
মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে মাস্ক না পড়া এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানা
ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে পরিচালনা করা মোবাইল কোর্টে
২২টি মামলা ছাড়াও ১৪ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে সর্বোচ্চ
একটি দোকানকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক
(সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন ছাড়া মাস্ক বিতরণ ও মোবাইল কোর্ট
পরিচালনায় ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাজমা আশরাফি,
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ শাহাদাত হোসেন রুবেল, নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেট আশিক উন নবী তালুকদার, মোঃ আবু সাঈদ, মোঃ মারুফ হাসান,
মাজহারুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান সুজন, মাহমুদুল হাসান রাসেল, সৈয়দ ফারহানা
পৃথা, নাছরীন সুলতানা, উম্মে মুসলিমা, গোলাম মোস্তফা, কানিজ ফাতিমা, তাসমিন
জাহান, অতীশ সরকার।