ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
ঈদের রাতে ইবাদত কেয়ামতের দিনে দুশ্চিতা মুক্ত রাখবে
Published : Tuesday, 11 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 11.05.2021 12:42:44 AM
ঈদের রাতে ইবাদত কেয়ামতের দিনে দুশ্চিতা মুক্ত রাখবেরহমত মাগফিরাত আর নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান শেষ হওয়ার পথে। সামনে আসছে ঈদের রাত। হাদিসের ভাষায় ঈদের রাতকে পুরুষ্কারের রাত বলা হয়। কাজেই পুরুষ্কার বন্টনের সময় অনুপুস্থিত থাকা বোকামী। অন্য এক হাদিসে এসেছে: যারা দুই ঈদের রাতে ইবাদত করে, কিয়ামতের ভয়াবহদিনে যখন সবাই পেরেশান, হতাশ এবং মহা দুশ্চিন্তা গ্রস্ত অবস্থায় থাকবে। সেইসময় তারা নিশ্চিন্ত থাকবে। তাদের মনে কোন পেরেশানী থাকবে না, ময়দানে হাশরের ভয়াবহতায় তাদের দিল ঘাবড়াবেনা। কেয়ামতের ভয়াবহতা এমন হবে যে শুধুমাত্র নবী মুহম্মদ (স:) ছাড়া অন্য সকল নবীগণ পর্যন্ত আল্লাহপাকের দরবারে আরজ করবে নাফসী নাফসী অর্থাৎ হে আল্লাহ আমাকে বাঁচান আমাকে বাঁচান আর আমাদের প্রিয় নবী (স:) উম্মতী উম্মতী অর্থাৎ হে আল্লাহ আমার উম্মতকে বাঁচান আমার উম্মতকে বাঁচান। কেয়ামতের ভয়াবহতা সম্পর্কে সুরা আবাসাতে আল্লাহপাক এরশাদ ফরমান অত:পর যখন তীক্ষè আওয়াজ আসবে, সে দিন মানুষ পালিয়ে যাবে তার ভাইয়ের কাছ থেকে এবং তার মাতা তার পিতা তার পতœী ও তার সন্তানের কাছ থেকে। সম্পর্ক যত গভীর হউক না কেন কেউ কাহার সাহায্য করতে পারবেনা সবাই নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত। হাদিসে বলা হয়েছে, রাসুল (স:) এরশাদ ফরমান কেয়ামতের দিন সমস্ত মানুষ একে বারেই উলংগ হয়ে উঠবে। একথা শুনে তাঁর পবিত্র স্ত্রীদের মধ্য থেকে কোন একজন ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করেন, হে আল্লাহর রাসুল আমাদের লজ্জাস্থান কি সেদিন সবার সামনে খোলা থাকবে? জবাবে রাসুল (স:) এই আয়াতটি তেলাওয়াত করে বলেন। সেদিন অন্যের দিকে তাকাবার মতো হুঁশ ও চেতনা কারো থাকবে না। অতএব কেয়ামতের ভয়াবহ পেরেশানী থেকে মুক্ত থাকার জন্য আমরা আল্লাহর দরবারে বেশি বেশি দোয়া করবো এবং দুই ঈদের রাতে বেশি বেশি ইবাদত করব ইনশাআল্লাহ।