ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
দখল হয়ে যাচ্ছে শতবর্ষী !
Published : Wednesday, 19 May, 2021 at 12:00 AM, Update: 19.05.2021 1:42:23 AM
দখল হয়ে যাচ্ছে শতবর্ষী !ইসমাইল নয়ন ॥ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকই দক্ষিণ পাড়া বকশি বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শতবর্ষী পুরনো সরকারি খালটি গতকাল ১৮ মে মঙ্গলবার ভোরে স্থানীয় একটি মহল তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা চরিতার্থ করার লে প্রশাসনের বাঁধা উপো করে ভরাট করেছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ও মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে ।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের টাকই দক্ষিণ পাড়া গ্রামে বকশি বাড়ির দণি পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া শতবর্ষী পুরনো খালটি প্রায় শতবছর আগে খনন করা হয়েছিল। এই খালটি একসময় উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল ও অন্য উপজেলায় নৌপথে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। বর্ষার মৌসুমে কৃষকেরা নৌকা দিয়ে তাদের জমি থেকে ধান পাট এবং অন্যান্য পণ্য আনা-নেওয়া করতো। ধানী জমিতে সেচের মাধ্যমে পানি সর্বরাহ করা হত এই খাল থেকে। বর্তমানে অনেক বাড়ির পানি নামানো এবং পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থার একমাত্র অবলম্বন এই খালটি। কয়েকদিন যাবত একটি মহল তাদের ব্যক্তিগত সুবিধা আদায় করার লে বেশ কয়েক দিন যাবত সরকারি খালটি ভরাট করার জন্য খালের কিছু অংশ মাটি ফেলে ভরাট করছিল, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প থেকে খাল ভরাটের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে খালটি ভরাট করেছে স্বার্থান্বেশী মহল। খাল ভরাটকারীরা হলেন, টাকুই গ্রামের শাহজাহানের ছেলে মিজানুর রহমান, মৃত ইয়াছিন মিয়ার ছেলে ইউসুফ, মৃত হাসান আলীর ছেলে ইসমাইল, রেয়াছত আলীর ছেলে আবু তাহের তার ভাই আঃ লতিফ ও ছিদ্দিকুর রহমান, মৃত মোনাফ মিয়ার ছেলে শাহজাহান গংরা।
তাদের মধ্যে ষাটোর্ধ শাহজাহান বলেন এই খালটি ব্রিটিশের আমলে হয়েছিল, তখন এ খালদিয়ে আমরা ধান, পাট সহ অনেক জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করতাম। বর্তমানে এই খালটি অনেক ব্যক্তি প্রয়োজনে দখল করে ফেলেছে, আমাদের বাড়ি থেকে বাহির হওয়ার জন্য রাস্তা প্রয়োজন হওয়ায় আমরা ভরাট করার চেষ্টা করছি। এ ব্যপারে স্থানীয়     ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন, এ খালটি ভরাট করতে গেলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) সরজমিনে এসে বাধা প্রধান করেন এবং খালের কিছু অংশে মাটি ফেললে তা সরিয়ে নিতে নির্দেশ প্রধান করেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রিফাত আসমা বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে খালটি ভরাটের বিষয়টি দেখে বাধা প্রদান করেছি। বর্তমানে খালটি ভরাট হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই।