শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য বাংলাদেশের চূড়ান্ত দল ঘোষণার আগে নিজেদের বার্তা জানিয়ে রাখলেন সৌম্য সরকার ও আফিফ হোসেন। প্রস্তুতি ম্যাচে দুজনই উপহার দিলেন ফিফটি। মাহমুদউল্লাহর দলে থাকা নিয়ে সংশয় নেই কোনো। তিনিও ফিফটিতে সেরে নিলেন প্রস্তুতি।
বিকেএসএপিতে বৃহস্পতিবার লাল ও সবুজ দলে ভাগ হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছেন বাংলাদেশের প্রাথমিক দলে থাকা ক্রিকেটাররা। ৪৫ ওভারের ম্যাচে তামিম ইকবালের লাল দলের বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহর সবুজ দল করেছে ৩ উইকেটে ২৮৪ রান।
ওপেনিংয়ে নেমে ৭০ বলে ৬০ করে স্বেচ্ছাবসরে যান সৌম্য। ৫৪ বলে মাহমুদউল্লাহ করেন ৬২, সমান বল খেলে আফিফ ৬৪। আউট হননি এই দুজনও।
কোয়ারেন্টিন থেকে বের হয়ে মাত্র একদিনের অনুশীলনের পর এই ম্যাচে নামা সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের পারফরম্যান্স খুব ভালো হয়নি। সাকিব অবশ্য শুরুটা ভালো করলেও আউট হয়ে যান ২০ বলে ২৮ রান করে।
লাল দলের হয়ে মুস্তাফিজ ৭ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। তার নতুন বলের জুটি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনও সুবিধা করতে পারেননি। ৯ ওভারে ৬৫ রান দিয়ে উইকেট পাননি সাইফ।
সবুজ দল ব্যাটিংয়ে নামে টস জিতে। ম্যাচের শুরুর দিকেই বোলারের হাতে বল লেগে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউট হন সৌম্য। তবে অনুশীলনের জন্য তাকে ব্যাটিং চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তিনি তা কাজে লাগান ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬০ রান করে।
সৌম্যর উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী মোহাম্মদ নাঈম শেখকে বসিয়ে দেওয়া হয় ৪৩ বলে ৫ চারে ৩৮ রান করার পর। এতে ইঙ্গিত, দলের চূড়ান্ত পরিকল্পনায় হয়তো সেভাবে নেই বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
সাকিব তিন নম্বরে নেমে বোল্ড হয় অফ স্পিনার মেহেদি হাসানের বলে। মেহেদির বলেই ৩ রানে আউট হয়ে অনুশীলনের সুযোগ হাতছাড়া করেন চারে নামা মোহাম্মদ মিঠুন।
সবুজ দলের মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ গড়েন বড় জুটি, ফিফটি করেন দুজনই। ছবি : বিসিবি।
সবুজ দলের মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ গড়েন বড় জুটি, ফিফটি করেন দুজনই। ছবি : বিসিবি।
এরপর বড় জুটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ। ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। আফিফের ৬৪ রানে চার ৭টি, ছক্কা ৩টি।
শেষ দিকে একটি করে চার ও ছক্কায় ১৬ বলে ১৭ করেন মেহেদি হাসান মিরাজ।
লাল দলের হয়ে মেহেদি হাসান ছাড়া সেভাবে ভালো করতে পারেননি অন্য কোনো বোলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :বাংলাদেশ সবুজ : ৪৫ ওভারে ২৮৪/৩ (নাঈম ৩৮*, সৌম্য ৬০*, সাকিব ২৮, মিঠুন ৩, মাহমুদউল্লাহ ৬২*, আফিফ ৬৪*, মিরাজ ১৭, বিপ্লব ৩* ; মুস্তাফিজ ৭-০-৪৮-০, সাইফ ৯-০-৬৫-০, মেহেদি ৯-০-৪০-২, শরিফুল ৭-০-৪৫-১, মোসাদ্দেক ৮-১-৩৮-০, নাসুম ৫-০-৪৪-০)।